Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মুজিবের বক্তৃতাকে স্বীকৃতি ইউনেস্কোর

এই স্বীকৃতির জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিবৃতিতে মুজিবকন্যা বলেন, এই স্বীকৃতি বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষার পক্ষে ‘বিশাল গৌরবের’।

শেখ মুজিবর রহমান। ফাইল চিত্র।

শেখ মুজিবর রহমান। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৭ ০২:০৩
Share: Save:

এ বারের সংগ্রাম— স্বাধীনতার সংগ্রাম। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতাকে ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’-এর স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো। ইতিহাস বলে, শেখ মুজিবুর রহমানের এই ১৭ মিনিটের জ্বালাময়ী বক্তৃতা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের সর্বস্ব পণ করে স্বাধীনতার লড়াইয়ে নামার প্রেরণা জোগায়। পাকিস্তান সরকার মুজিবকে গ্রেফতার করলেও ভারতের সর্বতো সহযোগিতায় স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি।

এই স্বীকৃতির জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিবৃতিতে মুজিবকন্যা বলেন, এই স্বীকৃতি বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষার পক্ষে ‘বিশাল গৌরবের’।

আবার মঙ্গলবার ইউনেস্কো যখন এই স্বীকৃতি দিয়েছে, সে দিনই ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশন তাদের ফেসবুক পেজ-এ ১৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি বিতর্কিত ভিডিও প্রকাশ করে মন্তব্য করে— শেখ মুজিব কোনও দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চাননি, তিনি স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলেন মাত্র। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানি হাই কমিশনার রফিউজ্জামান সিদ্দিকিকে তলব করে প্রতিবাদ জানায়। তার পরেই ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া হয়। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের এক সূত্র জানিয়েছেন, এর আগেও পাকিস্তানি হাই কমিশনের ফেসবুক পেজ-এ বেশ কিছু বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানো হয়েছে। এই ভিডিওটিতেও সুস্পষ্ট উস্কানি রয়েছে বলে পাক হাই কমিশনারকে ডেকে জানানো হয়েছে। তাঁকে সতর্কও করা হয়। হাই কমিশনার এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE