Advertisement
E-Paper

৫২ বছর পর কলকাতা-খুলনা রেলপথ খুললেন মোদী-হাসিনা-মমতা

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যে রেল যোগাযোগ, তা সচল হল আবারও। ৫২ বছর পর 'বন্ধন' এক্সপ্রেস চলাচলের মধ্য দিয়ে আবার শুরু হল খুলনা-কলকাতা রেল যাতায়াত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:০০
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যে রেল যোগাযোগ, তা সচল হল আবারও। ৫২ বছর পর 'বন্ধন' এক্সপ্রেস চলাচলের মধ্য দিয়ে আবার শুরু হল খুলনা-কলকাতা রেল যাতায়াত।

ক্রমশ নতুন উচ্চতা পাওয়া ভারত- বাংলাদেশ সম্পর্কের এই নবায়নে একই সঙ্গে উদ্বোধন হল দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতুর। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে এই তিন প্রকল্প ছাড়াও উদ্বোধন করেন ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেসের জন্য উভয়প্রান্তে বহির্গমন ও কাস্টমস কার্যক্রমের। ভারতের ঋণ সহায়তায় তৈরি হয়েছে সেতু দুটি।

আরও পড়ুন: বরিশালে জন্মপঞ্জি খুঁজে পেলেন স্পিকার

বৃহস্পতিবার ঢাকায় গণভবন থেকে শেখ হাসিনা এবং দিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নরেন্দ্র মোদীর এই ভিডিও কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্ত হন হাওড়ায় তার কার্যালয় নবান্ন থেকে।

দিল্লিতে মোদীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর ঢাকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের বিদেমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করা হয় দিল্লি থেকে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ভারত এবং অন্যান্য নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই। যেখানে আমরা সুপ্রতিবেশী হিসেবে পাশাপাশি বসবাস করতে পারি এবং জনগণের কল্যাণের জন্য গঠনমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারি।”

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ৯/১১-র ছক ভেস্তে দিল গোয়েন্দারা

আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ ও আলাপ আলোচনার ওপর জোর দেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ভৈরব ও তিতাসের পুরনো সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। ভারতীয় ঋণে সেখানে নতুন দুটি সেতু হওয়ায় ডাবল লাইনে ক্রসিং ছাড়াই ট্রেন চলাচল করতে পারবে এবং যাতায়াতের সময় ১৫ মিনিট কমে আসবে।

২০১০ সালের নভেম্বরে একনেকের অনুমোদন পাওয়া এ দুটি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ভারত ঋণ হিয়েবে ৮২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়েছে।

আশুগঞ্জ ও ভৈরবে মেঘনা নদীর ওপর ডুয়াল গেজ রেলসেতুটির দৈর্ঘ ৯৮২ দশমিক ২ মিটার। আর দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতু ২১৮ মিটার দীর্ঘ।

মৈত্রী এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে বা আসার পথে এত দিন যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সারতে হত চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও মুর্শিদাবাদের গেদে সীমান্তে। এবার থেকে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে ঢাকা ছাড়ার আগেই। গন্তব্য শেষে কলকাতায় হবে ভারতীয় অংশের ইমিগ্রেশন। তাতে যাত্রার সময় কমে আসবে তিন ঘণ্টা। যাত্রীদের ভোগান্তিও কমবে।

Narendra Modi Bangladesh Sheikh Haseena Mamata Banerjee বাংলাদেশ মমতা ব্যানার্জি শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy