Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
VYOM

ভিওম - প্রকৃতির কোলে প্রাণ ভরে বাঁচার এক অনন্য অভিজ্ঞতা

প্রকৃতির মাঝে জীবনকে উপভোগ করার অন্যতম ঠিকানা ভিওম

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ১৬:২১
Share: Save:

শহরের প্রাণকেন্দ্র অথচ শব্দের যানজট থেকে অনেক দূরে, যেখানে মায়ের মতোই প্রকৃতির কোলে বিলীন হওয়া যায় - এবার সেই রকমই এক জায়গার সন্ধান দিল পিএস গ্রুপ - প্রোজেক্ট ভিওম। ২.৫ একরেরও বেশি জায়গা নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই প্রোজেক্ট। সঙ্গে একটি পুকুর যা আয়তনে মোট প্লটের দশভাগের একভাগ। সব মিলিয়ে মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনযাত্রার মান অনেকটাই বাড়িয়ে দিতেই সযত্নে তৈরি হচ্ছে ভিওম

প্রাকৃতিক পুকুর

ভিওমের মাঝে অবস্থিত এই প্রাকৃতিক পুকুরটিকে শুধুমাত্র সংরক্ষণই করছে না পিএস গ্রুপ, বরং এখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা আরও বেশি সমৃদ্ধ করে তুলতে, এবং বৈচিত্র্য আনতে এটির সংস্কারও করা হয়েছে। ফলে শুধুমাত্র বাইরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিই নয়, এই পুকুরটি সামগ্রিকভাবে ভিওমের ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে এবং শান্ত ও ইতিবাচক পরিবেশের পরিস্ফুটনে সাহায্য করেছে।

অন্যদিকে পুকুরের চারপাশে তৈরি হওয়া গাছপালাগুলি শুধুমাত্র প্রোজেক্টের নান্দনিকতাই বাড়ায়নি, দূষণের মাত্রাও অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত রেখেছে।

উচু টিলা আর সুসজ্জিত বাগান

রঙিন পরিবেশ, বিভিন্ন আকার আর নানান নিদর্শন - ভিওম যেন এক জীবন্ত ক্যালিডোস্কোপ। ভিওমের বাগান এবং ছোট টিলাগুলি প্রায় ৫০০-এর বেশি বড় গাছ এবং ছোট গুল্মতে ঘেরা। জারুল, অশোক, শিউলি, পলাশ, বকুল থেকে শুরু করে এক্সোটিক ফুলের গাছ - প্লুমেরিয়া আলবা, তাবেবুইয়া রোজেয়া, ক্যালিসটেমন মের্টেসিয়া, ডেলোনিক্স রেজিয়া, ব্রাউনিয়া আরিজা, মিশেলিয়া চ্যাম্পসা, আফ্রিকান টিউলিপ, বাউহিনিয়া ব্লেকিনা, ক্যাসিয়া রক্সবুরগি - কী নেই সেই বাগানে! সেই সঙ্গে আম, পেয়ারা, কাঠাল, বেলের মতো ফলের গাছও রয়েছে।

শুধু ফুল বা ফল গাছই নয়, বাড়ির উঠোনে রয়েছে নিমের মতো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গাছ যা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। রয়েছে আফ্রিকান টিউলিপ যার ছাল, পাতা ও ফুলের নির্যাস ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস মেলিটাস,গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল, আলসার, চর্মরোগ, ক্ষত, জ্বর, লিভারের সমস্যা ইত্যাতি সারাতে ব্যবহৃত হয়। রয়েছে বায়েল যা ডায়াবেটিসং, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়রিয়া এবং আমাশয়, শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ ইত্যাদি নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এ তো স্রেফ উদাহরণ মাত্র। বাগানের গাছের তালিকাটি বেশ লম্বা।

বাঁশ বাগান

গবেষণায় দেখা গিয়েছে একটি সাধারণ বনের থেকে বাঁশের বাগান ৩৫ শতাংশ বেশি অক্সিজেন নিঃসরণ করে। ভিওমে রয়েছে এইরকমই একটি বাঁশ বাগান। যেখানে সুর্যোদয়ের ভোরের কিংবা পড়ন্ত বিকেলের মনোরম পরিবেশে স্বল্প পদচারণা বাসিন্দাদের মানসিক এবং শারীরিক প্রশান্তি যোগাবে। গবেষণা বলথতে ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাগানে হাঁটা, জাপানি পরিভাষায় যাকে বলে 'ফরেস্ট বাথিং' - হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির মতো সমস্যাকে দূরে রাখে এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর ভিওমে বাসিন্দারা সেই সুবিধাই পাবেন।

প্রকৃতির মধ্যে সমৃদ্ধ জীবনযাত্রা এবং বৈচিত্রের মধ্যে বেঁচে থাকার অনুভূতি - এই সব মিলিয়ে ভিওমে আপনি পাবেন এক অনন্য অভিজ্ঞতা। ঘন বনরাশি বাইরের জগতের ব্যস্ততা এবং কোলাহল থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। পাতার খসখসানি, গাছের ডালের আওয়াজ, প্রজাপতির ডানার শব্দ - সব মিলিয়ে এ যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। জল, হাওয়া এবং জীবনবৈচিত্র্য - দিনের শেষে এর থেকে অধিক সুখ বোধ হয় আর কোথাও নেই। এই পরিবেশ মনকে শুধু ভালই রাখে না, অধ্যাত্মিকতারও সৃষ্টি করবে আপনার চারপাশে।

ভিওমে রয়েছে প্রায় ৩০ টি প্রজাতির প্রজাপতি। রয়েছে পাখি, কাঠবেড়ালি, ড্রাগনফ্লাইয়ের বিভিন্ন প্রজাতিও। যা জীবনকে একটু চেনা ছকের বাইরে বাঁচার আনন্দ দেবে। এই অদ্ভুত সুন্দর জীবনবৈচিত্র্য়ের সাক্ষী থাকতে আপনাকে আসতেই হবে ভিওমে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Real Estate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE