শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন গ্রন্থিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে ‘পিটুইটারি গ্ল্যান্ড’। এই গ্ল্যান্ড বিভিন্ন প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি করে, যার মাধ্যমে ‘পিটুইটারি গ্ল্যান্ড’ শরীরের অন্যান্য গ্রন্থিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণে একে ‘মাস্টার গ্ল্যান্ড’ও বলা হয়।
কিন্তু অনেকসময়ই এই পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে টিউমার দেখা যায়।
কতটা ক্ষতিকর এই টিউমারগুলি?
সম্প্রতি আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ‘অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল’-এর নিউরো সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট, চিকিৎসক দেবর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কিছু টিউমার এমন থাকে যেগুলি থেকে হরমোন তৈরি হয়, আবার কিছু টিউমার এমন থাকে যেগুলি শুধুই বড় হতে থাকে কোনও হরমোন তৈরি করে না।”
এই টিউমারগুলি থেকে কিছু কিছু সময় রক্তপাত হতে পারে, তখন অস্ত্রোপচার করানোর প্রয়োজন হয়ে পরে। এই টিউমারগুলিতে অনেক সময়েই হরমোন অতিরিক্ত হয়ে পরে। তখনই রোগীর কিছু উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন - প্রোলাক্টিনের প্রভাবে পুরুষ, মহিলা উভয়েরই স্তন থেকে দুগ্ধ নিঃসরণ হতে পারে, লিবিডো কমে যায়, শরীর থেকে রোম ঝরে যায়, বন্ধ্যাত্বর সমস্যাও দেখা যায়।
বিশদে জানতে নীচের ভিডিয়োটি দেখুন:
পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের টিউমার নিয়ে আলোচনায় চিকিৎসক দেবর্ষি চট্টোপাধ্যায়
টিউমারের আরেকটি ধরণ হল ‘ফাংশনিং পিটুইটারি টিউমার’, যাতে বেশি কর্টিসোল নিঃসরণ হয়। এর ফলে রোগীর মধ্যে অনেকরকমের উপসর্গ দেখা দেয়।
চিকিৎসক চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “ফাংশনিং পিটুইটারি টিউমার থেকে আর একটি রোগ হতে পারে যাতে গ্রোথ হরমোন বেশি নিঃসরণ হয়। এটির ফলে শরীরের নানা জায়গায় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়। হাত বা পায়ের আকার বড় হয়ে যায়, চোয়াল বড় হয়ে যেতে পারে, মাথার সামনের দিক ফুলে উঠতে পারে। এটি শরীরের নানা জায়গায় প্রভাব ফেলতে পারে।”
তবে আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে নাকের মধ্য দিয়ে বেশিরভাগ পিটুইটারি টিউমার বের করা যায়। কিন্তু ভাল খবর হল পিটুইটারি টিউমার ‘বিনাইন’ হয়। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং সফল অস্ত্রোপচার হলে রোগী খুব তাড়াতাড়িই তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।
যে কোনও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশ্নের জন্য, অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করুন:
জরুরি নম্বর: ১০৬৬
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৪৪২০২১২২
ই-মেইল আইডি: infokolkata@apollohospitals.com
এই প্রতিবেদনটি ‘অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল’-এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।