সাম্প্রতিক বিশ্বে ‘হোটেল ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়টি শুধুই আর খাবার পরিবেশন বা সেবার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় — এটি এখন একটি আন্তর্জাতিক শিল্পে পরিণত হয়েছে, যেখানে সংস্কৃতি, পেশাদারিত্ব ও উদ্ভাবনের এক মেলবন্ধন ঘটেছে। এই শিল্পে ভারতের পক্ষ থেকে এক উজ্জ্বল গর্বিত নাম হয়ে উঠেছে ‘এনআইপিএস ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট’। ১৯৯৩ সাল থেকে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ভারতের গর্ব ও আন্তর্জাতিক খ্যাতির এক অন্যতম নাম।
‘এনআইপিএস ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট’ পূর্ব ভারতের প্রথম ন্যাক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ‘হোটেল ম্যানেজমেন্ট’ প্রতিষ্ঠান, যার থেকে তৈরি হচ্ছে এমন এক ভবিষ্যৎ প্রজন্ম — যারা শুধু চাকরিই নয়, আতিথেয়তা শিল্পকেও সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেয়। কলকাতা, ভুবনেশ্বর, রাঁচি এবং শিলং— এই চারটি শহরেই ‘এনআইপিএস’-এর ক্যাম্পাস রয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠান শুধু বড় শহরেই নয়, পূর্ব ভারতের নতুন ‘হোটেল ম্যানেজমেন্ট’ কেন্দ্রগুলিতেও ছড়িয়ে দিয়েছে তার প্রভাব। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য ‘এনআইপিএস’ হয়ে উঠেছে বিশ্বমানের শিক্ষা ও চাকরির সুযোগের এক বৃহত্তর কেন্দ্র।
বিশ্বের সেরা ১০০টি ‘হোটেল ম্যানেজমেন্ট’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমানে স্থান পেয়েছে ‘এনআইপিএস’, ‘ওয়ার্ল্ডশেফস্’ (ডাব্লিউএসিএস)-এর মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনের দ্বারা। এ ছাড়াও এটি ‘ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অফ কালনারি অ্যাসোসিয়েশনস্’ (আইএফসিএ) দ্বারা স্বীকৃত একমাত্র পূর্ব ভারতীয় প্রতিষ্ঠান, যা এটিকে রন্ধনশিল্প শিক্ষায় বিশেষ স্থান দেয়।
এই প্রতিষ্ঠানের শক্তি মূলত এর অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী। শতাধিক দেশে কাজের অভিজ্ঞতা থাকা এখানকার শিক্ষকমন্ডলী কেবল পাঠদানই করেন না, তাঁরা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও বিশ্বমানের বিভিন্ন কৌশলও শেখান। এঁদের মধ্যে অনেকেই ‘ডাব্লিউএসিএস’ ও ‘আইএফসিএ’-এর সদস্য। তাঁদের শিক্ষাদান পদ্ধতি ক্লাসরুমকেও একটি পেশাদার হোটেল পরিবেশের রূপ দেয়।
এই বাস্তবমুখী শিক্ষারই প্রমাণ মেলে সম্প্রতি ‘এআইসিটিই’ আয়োজিত ‘অমৃত মহোৎসব’ শেফ প্রতিযোগিতায়, যেখানে ‘এনআইপিএস’ প্রথম স্থান অধিকার করে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার জিতেছে। এই পুরস্কার প্রমাণ করে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস দেশের সেরা সেরা প্রতিষ্ঠানের থেকেও অনেক এগিয়ে।
‘এনআইপিএস ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট’-এর প্রতিষ্ঠাতা বিবেক পাঠক
‘এনআইপিএস’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক বিবেক পাঠক বলেছেন, “হোটেল ম্যানেজমেন্ট আমাদের কাছে শুধুই চাকরি নয় — এটি একটি জীবনদর্শন। আমরা শিক্ষার্থীদের কেবল পেশাগতভাবেই দক্ষ করে তুলি না, তাঁদের আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বগুণ ও চরিত্র গঠনের ওপর বিশেষ জোর দিই।”
‘এনআইপিএস’-এর লক্ষ্য শুধু শিক্ষা নয়, ক্ষমতায়ন। এই প্রতিষ্ঠান ভারতকে একটি আন্তর্জাতিক আতিথেয়তার নেতৃত্বকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীরা আজ বিশ্বজুড়ে নামজাদা হোটেল, ক্রুজ, বিমান সংস্থা ও আতিথেয়তা সংস্থাতেও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। যেমন, প্রথম ভারতীয় হিসেবে ফ্রান্সের Chevalier de l’Ordre du Mérite Agricole পেয়েছেন শেফ প্রিয়ম চট্টোপাধ্যায়, ‘ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া’র জেনারেল ম্যানেজার শুভঙ্কর বোস, শ্রেয়শ্রী দাস, দিলীপ কুমার, অরবিন্দর সিং খোখর প্রমুখরা আন্তর্জাতিক ক্রুজ কোম্পানিতে কাজ করছেন। এ ছাড়াও অনেকেই সফলভাবে নিজের হোটেল, ক্যাটারিং বা ট্র্যাভেল কোম্পানি খুলেছেন।
‘এনআইপিএস’-এর শিক্ষার প্রতিটি ধাপেই রয়েছে কিছু আলাদা — ম্যানেজমেন্ট গেমস্, মক হোটেল অপারেশনস্, থিম ভিত্তিক ডেকরেশন, সফট স্কিল ট্রেনিং, টেকসই প্রকল্প ও আন্তর্জাতিক ইন্টার্নশিপ। আমেরিকা, ফ্রান্স, দুবাই বা জার্মানিতে ইন্টার্ন করার সুযোগ ‘এনআইপিএস’-এর শিক্ষার্থীদের বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেয়।
আজকের দিনে যখন ভারতীয় পরিষেবা ক্ষেত্র দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক আতিথেয়তা খাতে দক্ষ পেশাদারের চাহিদাও বাড়ছে, এই পরিস্থিতিতে তখন ‘এনআইপিএস’ হয়ে উঠেছে স্বপ্ন আর সাফল্যের মধ্যে এক অনন্য সেতুবন্ধন। ‘এনআইপিএস’ শুধু শিক্ষার্থীদের বিশ্বসেরা হোটেল শিল্পে কাজের জন্য তৈরি করে না — তাদেরকে ভবিষ্যতের নেতা হিসেবেও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলে।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘এনআইপিএস ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট’-এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।