জীবনধারার পরির্বতন, কর্মব্যস্ততা এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের জেরে এখন বেশির ভাগ মানুষই হৃদ্রোগে আক্রান্ত। অল্প হাঁটাচলা করলেই হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের মতো বিষয়গুলি এখন খুবই সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি অল্প বয়সীদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, বছর কয়েক আগেও হৃদ্রোগের সমস্যা দেখা দিলে বা হার্ট অ্যাটাক হলে মানুষের মৃত্যু হত। এখনও হয় বটে, তবে সেই সংখ্যাটা খুবই সীমিত।
চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল সমস্যারও এখন সহজ সমাধান মিলেছে। ‘বাইপাস সার্জারি’ বা ‘অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি’র মতো পরীক্ষানিরীক্ষাও এখন সব ক্ষেত্রে করার দরকার হয় না। তার বদলে এসেছে উন্নত মানের ‘ট্যাভার’ (TEVAR) বা ‘থোরাসিক এন্ডোভাসকুলার অ্যায়োর্টিক রিপেয়ার’ পদ্ধতি। কী এই ‘ট্যাভার’ পদ্ধতি? কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীদের উপরে এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে?
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক বিশেষ আলোচনা চক্রে ‘ট্যাভার’ এবং ‘ওয়্যারলেস পেসমেকার’ বিষয় নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করেছেন মণিপাল হাসপাতালের কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাবের ডিরেক্টর, সিনিয়র কনসালট্যান্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়োলজিস্ট এবং ইলেকট্রোসাইকোলজিস্ট চিকিৎসক দিলীপ কুমার এবং মণিপাল হাসপাতালের কার্ডিয়োলজি বিভাগের ডিরেক্টর এবং বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক পি কে হাজরা।
‘ট্যাভার’ এবং ‘ওয়্যারলেস পেসমেকার’ নিয়ে আলোচনায় চিকিৎসক দিলীপ কুমার এবং চিকিৎসক পি কে হাজরা
চিকিৎসক দিলীপ কুমার এবং পি কে হাজরা বলেন, “বাইপাস সার্জারির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন, বয়স ৬৫-র ঊর্ধ্বে হলে বাইপাস সার্জারি করা বেশ জটিল হয়ে যায়। এ ছাড়াও অস্ত্রোপচারের পরে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে কর্মজীবনে ফিরতে বেশ অনেকটা সময় লাগে। পাশাপাশি বাইপাস সার্জারিতে যেহেতু বুকের মাঝখান থেকে অনেকটা কাটা হয়, সে ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের পরে বেশ ব্যথা থাকে। কিন্তু ‘ট্যাভার’-এর ক্ষেত্রে এ সব কোনও সমস্যাই থাকে না। কাটাছেঁড়া করারও কোনও প্রয়োজন পড়ে না। তাই খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বয়স্কদের ক্ষেত্রেও এই ‘ট্যাভার’ সম্পূর্ণ নিরাপদ।”
চিকিৎসক দিলীপ কুমার এবং পি কে হাজরা আরও বলেছেন, “হৃদ্রোগের সমস্যার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ‘পেসমেকার’ বসানো। ‘পেসমেকার’ বসানোর পদ্ধতি বা তার পরবর্তী সময় খুব জটিল না হলেও, পেসমেকারের তারগুলি বদলানোর সময়ে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে সেপসিস হয়ে মৃত্যু পর্যন্তও ঘটতে পারে। তাই আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এখন ‘ওয়্যারলেস পেসমেকার’ ব্যবহার করা হয়। এটি অনেক বেশি সুরক্ষিত ও নিরাপদ।”
মণিপাল হাসপাতালের সবক’টি শাখাতেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং যে কোনও পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই হৃদ্রোগ ছাড়াও যে কোনও রোগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভরসা রেখে পৌঁছে যেতে পারেন আপনার নিকটবর্তী মণিপাল হাসপাতালের যে কোনও একটি শাখায়।
বিশদে জানতে ভিজ়িট করুন:
https://www.manipalhospitals.com/
এই প্রতিবেদনটি ‘মণিপাল হাসপাতাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।