Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Astrology

কেন বেড়ে চলেছে এত বিবাহবিচ্ছেদ? আলোচনায় শ্রী মণি ভাস্কর

প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাহিদা বেড়েছে, সাফল্যের ইঁদুর দৌড়ে মরিয়া আমরা বুঝতেই পারছি না, যে সুখ কেনার জন্য আমরা সাফল্যের পেছনে ছুটে চলেছি, ছুটতে ছুটতে সেই সুখটাই হারিয়ে যাচ্ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো
শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৩৬
Share: Save:

একটি বাড়ি তৈরির আগে প্রথমেই ভিতটা মজবুত করে নিতে হয়। নইলে সামান্য কারণেও বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। তেমনি, একটি সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে হলে সম্পর্কের শুরুটা হতে হবে মজবুত ভিত্তিতে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক সূত্র যার সাহায্যে এই কঠিন অশান্ত সংশয়দীর্ণ সময়েও সম্পর্কের বাঁধন মজবুত হয়। পরিসংখ্যান বলছে, বিবাহবিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। অথচ এমন নয় যে, ৪০ বছর আগে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান ডিভোর্স সূচক ছিল না। ছিল, কিন্তু তখন আমাদের সহনশীলতা বেশি ছিল, পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ কম ছিল, ফলতঃ দম্পতির মধ্যেকার টুকটাক মতপার্থক্য একেবারে বিচ্ছেদের রূপ নিত না। কালের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের মানসিকতা, সহনশীলতার পরিবর্তন ঘটেছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাহিদা বেড়েছে, সাফল্যের ইঁদুর দৌড়ে মরিয়া আমরা বুঝতেই পারছি না, যে সুখ কেনার জন্য আমরা সাফল্যের পেছনে ছুটে চলেছি, ছুটতে ছুটতে সেই সুখটাই হারিয়ে যাচ্ছে।

আমরা জানি, সাফল্য একটা প্রসেস, যা অনুসরণ করে সফল হতে গেলে কতকগুলো Power/শক্তি আয়ত্ত্ব করা প্রয়োজন। পাওয়ার অফ ডিসিশন, পাওয়ার অফ রিলিফ অ্যান্ড হিলিং, পাওয়ার অফ ক্লিয়ার ভিশন ইত্যাদি..... এই বোঝার ক্ষমতা কিন্তু আসে আমাদের বিজ্ঞানময় কোষ থেকে। আমাদের শরীর পাঁচটি আধ্যাত্মিক কোষ দ্বারা নির্মিত-- অন্নময় কোষ, প্রাণময় কোষ, মনোময় কোষ, বিজ্ঞানময় কোষ এবং পরিশেষে আনন্দময় কোষ। বিজ্ঞানময় কোষ অনেকটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ইন্টারনেট কানেকশনের মতো। কম্পিউটারের যেমন হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার, আমাদের তেমন অন্নময় কোষ। খাদ্য, পানীয়, আনন্দ-মজা, ভালো চিন্তা, ভালো সঙ্গ, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদি থেকে তৈরি হয় আমাদের অন্নময় কোষ, আবার এই খাদ্যের নির্যাস গৃহীত হয় প্রাণময় কোষের দ্বারা, অনেকটা কম্পিউটারের ব্যাটারি, চার্জারের মতো। বিজ্ঞানময় কোষ যদি হয় ইন্টারনেট, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন অবশ্যই আমাদের মনোময় কোষ, আর একেবারে অন্তিমে রয়েছে আনন্দময় কোষ, যেখানে স্বয়ং পরমেশ্বরের বাস। আমাদের যার যার জীবনে যা যা প্রয়োজন, সেই অনুসারে মানবজীবনের সম্পূর্ণ ম্যাপিংটাই করেন পরমেশ্বর.... সবটাই তিনি ঘটিয়ে দেন..... কিন্তু তা সত্ত্বেও সমস্যা কেন? মূল কয়েকটি কারণ এখানে চিহ্নিত করছি.....

পরিবারের অসম্পৃক্ততা

বিবাহ কেবল দুটো মানুষকে কাছাকাছি আনে না, দুটো পরিবারকেও কাছাকাছি নিয়ে আসে। সেখানে যখন বিরোধ দেখা দেয়, যে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার পেছনে পরিবারের সম্পৃক্ততা থাকে না, সেই সম্পর্কের স্থায়ীত্ব অতি সীমিত।

জীবনসঙ্গী নির্বাচনে ভুল

বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রপাত্রী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের পছন্দেই হোক অথবা দুই পরিবারের অভিভাবকদের পছন্দে জীবনসঙ্গী নির্বাচনে ভুল হলে, বিবাহিত জীবনে তার মাসুল দিতেই হয়। কখনও কখনও একে অপরের জন্য ভুল জীবনসঙ্গী নির্বাচনই সমস্যা সঙ্কুল বিবাহ জীবনের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সমঝোতার অভাব

আমরা যখন কোনও আবেগঘন সম্পর্কে জড়াই, তখন সঙ্গীর ভালো গুণগুলোই কেবল আমাদের চোখে ধরা দেয়, খারাপ গুণগুলো আমরা দেখেও না দেখার অজ্ঞানতার মধ্যে থাকি। কিন্তু বিয়ের পর ছোট ছোট দোষত্রুটিও আমাদের চোখে বড় হয়ে দেখা দেয়। স্বামী কাজে ব্যস্ত, স্ত্রীকে সময় দিতে পারেন না। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী কিছুই মনে থাকে না। অন্যদিকে স্ত্রী হয়তো কর্মরতা, অফিসে দীর্ঘক্ষণ কাজ চলছে, এদিকে বাড়িতেও হয়তো অতিথি এসেছেন, তিনি সময়ে পৌঁছতে পারলেন না। আমরা কিন্তু চাইলেই এই ছোট-খাটো ত্রুটি এড়িয়ে যেতে পারি, কিন্তু বিয়ের পর এই সমস্যাগুলি প্রকট আকার ধারণ করে। অসংখ্য বার ঝগড়ার পরেও দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আমরা টিকিয়ে রাখতে চাই। অথচ সামান্য ভুলের জন্য কেবলমাত্র সমঝোতার অভাবে একটি বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলি অতি সহজেই।

উদাসীন মনোভাব

একে অপরের প্রতি উদাসীন মনোভাব পোষণ করলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব দেখা দেয়। জীবনসঙ্গীর মতো এত প্রগাঢ় নিবিড় একটি সম্পর্কে উদাসীনতা একে অপরের মধ্যে অলঙ্ঘ্য দূরত্ব নির্মাণ করে।

সন্দেহপ্রবণতা

সন্দেহপ্রবণতা দাম্পত্য জীবনের আরেক অশান্তির নাম। এটি ঘুণের মত সম্পর্ককে অন্তঃসারশূন্য করে ফেলে। কখনও কখনও, সন্দেহপ্রবণতা এমনই এক ব্যাধি, যার কোনো যৌক্তিক কারণ থাকে না।

অন্যের সাথে তুলনা

প্রতিটা মানুষই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তা সত্ত্বেও আমরা অনেক সময় অন্যদের সঙ্গে নিজের বা নিজের জীবনসঙ্গীর তুলনা করে থাকি। আর অমিল দেখতে পেলেই শুরু হয় মন কষাকষি।

তৃতীয় ব্যক্তির প্রাধান্য

দাম্পত্য জীবনের সমস্যার মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির মতামত বা ভূমিকাকে প্রাধান্য দিলে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বাড়ে। সঙ্গীর প্রতি অসন্তোষ থাকতেই পারে। মনোমালিন্য হতেই পারে। কিন্তু এই ব্যাপারগুলো নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তৃতীয় ব্যক্তিকে টেনে আনলে সমস্যা বাড়ে।

এছাড়াও রয়েছে আমাদের স্বভাব, অভ্যাস, বুদ্ধি-চিন্তন, জন্মছক এবং বাস্তুর ভূমিকা। জন্মছক ও বাস্তু কিভাবে আমাদের বিবাহ জীবনে সমস্যা তৈরি করে, পরবর্তী পর্বে সে বিষয়ে আলোচনা করবো। আপনারাও জীবনের ছোট-খাটো সমস্যা সমাধানে বেছে নিতে পারেন Symbol Meditation. এক্ষেত্রে Symbol Meditation (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) আপনাদের সহায়ক হতে পারে। Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable).

ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Astrology Divorce Marriage Vastu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE