‘ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ২’
গানপ্রেমীদের জন্যে মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ২’। গত বছর অর্থাৎ ‘ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ১’-এ ছিলেন বাংলার তিন জনপ্রিয় শিল্পী নচিকেতা, অঞ্জন দত্ত এবং শিলাজিৎ। ‘ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ১’-এর মতোই সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে ‘ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ২’। এ বারের তিন শিল্পী ছিলেন বাংলা গানের জগতের তিন প্রজন্মের তিন অনবদ্য গায়িকা ঊষা উত্থুপ, লোপামুদ্রা মিত্র এবং ইমন চক্রবর্তী। যাঁদের গানে এখনও মুগ্ধ আট থেকে আশির বাঙালি।
গান, বাজনাকে কেন্দ্র করে সংস্কৃতির মোড়কে জমজমাট হয়ে উঠেছিল অনুষ্ঠান। ত্রিমূর্তির উদ্যোক্তাদের লক্ষ্যই হল, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীদের এক মঞ্চে একত্রিত করা। পরিকল্পনামাফিকই উপস্থাপিত হয়েছে ‘ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ২’- এর সন্ধে। কলকাতার বুকে অন্য ধারার এই অনুষ্ঠান সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যে বয়ে এনেছে এক অভাবনীয় আনন্দ। ‘
তবে ‘ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ২’–এ গানের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের আরও একটি লক্ষ্য ছিল। শিল্পীদের হাত ধরে একেবারে ঘরোয়া পরিসর থেকে মহিলাদের উন্নতির পথে নিয়ে আসা, তাঁদের আরও এগিয়ে চলতে উদ্বুদ্ধ করা।
সূচনাপর্বে সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র প্রার্থনা সঙ্গীত ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ দিয়ে তাঁর অনুষ্ঠান শুরু করেন। পরবর্তীতে একাধিক গানে মাতিয়ে রাখেন শ্রোতাদের। লোপামুদ্রা তাঁর গানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান তাঁর গুরু সমীর চট্টোপাধ্যায়কে। এ ছাড়াও চল্লিশোর্ধ্ব মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা এবং সামাজিক অবস্থান নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
বাংলার আর এক জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তীও ছিলেন ‘ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ২’- এর মঞ্চে। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর পায়ে চোট লাগার কারণে তিনি হুইলচেয়ারের করে মঞ্চে প্রবেশ করেন এবং তাতে বসেই পুরো অনুষ্ঠানটি করেন। শুরুতে শ্রোতাদের সাময়িক খারাপ লাগা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইমনের গানের জাদুতে তাঁরা মুগ্ধ হয়ে যান। ইমন তাঁর গানের সুরে তুলে ধরেছিলেন ২০-৩০ বছর বয়সী তরুণীদের ছকভাঙা উন্নতির কাহিনি।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মঞ্চে ওঠেন বাংলা তথা গোটা দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়, কিংবদন্তি গায়িকা ঊষা উত্থুপ। তিনিও তাঁর সুরের জাদুতে বরাবরের মতো মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শকদের। পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেন সব বয়সের মানুষদের একাকীত্ব ও নানা ভাবনার জটিলতার কথা। সব মিলিয়ে এ বারেও সুন্দর ভাবে ও সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় ‘ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ২’।
ব্যান্ডএজ ট্যালেন্ট এজেন্সির ডিরেক্টর কস্তুরী ভট্টাচার্য্য আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, “শুধুই মহিলাদের নিয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান আগে কোনওদিন হয়নি। আমরা তিন প্রজন্মের তিন সঙ্গীত শিল্পীকে নিয়ে ‘ত্রিমূর্তি চ্যাপ্টার ২’-এর আয়োজন করেছিলাম। আমাদের এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যই ছিল মহিলাদের সামগ্রিক উন্নতির দিকটি তুলে ধরা।আশা করছি পরবর্তীকালেও আমরা এই ধরনের আরও অনেক অনুষ্ঠান করতে পারবো।’’
অনুষ্ঠানের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার ছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy