গত বছর অতিমারির প্রথম ঝাপটা সামাল দিতে যখন অর্থনীতির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন সবচেয়ে বেশি যাঁরা ধাক্কা খেয়েছিলেন, তাঁদের প্রথম সারিতে ছিলেন শিল্প ক্ষেত্র ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক এবং পরিযায়ী শ্রমিকেরা। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ যখন আংশিক ভাবে হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রকে বিঘ্নিত করছে, তখনও সবচেয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে তাঁদের ভবিষ্যৎই। এই অবস্থায় সেই শ্রমিকদের সুরক্ষা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। যেখানে রয়েছে নিখরচায় প্রতিষেধক প্রয়োগ, হাসপাতালে যথেষ্ট বেডের ব্যবস্থা, করোনাকালে শ্রমিকদের রোজগারের সুরক্ষা-সহ একগুচ্ছ দাবি।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, করোনার প্রথম ঝাপটা যখন অর্থনীতিকে নুইয়ে দিয়েছিল, তখন বিভিন্ন ক্ষেত্রকে ঋণ দিয়েই কর্তব্য সেরেছিল কেন্দ্র। নিচু আয়ের মানুষের হাতে নগদের জোগান দেওয়ার কার্যত কোনও চেষ্টাই করেনি তারা। প্রথম সারির বহু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ সত্ত্বেও। এমনকি, লকডাউনের মধ্যে নিজের রাজ্যে ফিরতে গিয়ে কত জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তারও ছিঁটেফোঁটা হিসেব ছিল না কেন্দ্রের কাছে। অথচ তখন সংসদে সংখ্যার জোরে বিতর্কিত শ্রম বিধি পাশ করানো হয়। আর এ দফায় করোনা প্রতিষেধকের প্রয়োগ শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বাজার দর ঠিক করার স্বাধীনতা।
শ্রমিক সংগঠনগুলির বক্তব্য, করোনা প্রতিরোধের নামে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত যা যা করেছে, তার অধিকাংশই বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে নিচু আয়ের মানুষের জীবনে। ঠিক আগের বছরের মতো। সেই প্রেক্ষিতেই এ দিন আইএনটিইউসি, সিটু, এআইটিইউসি, এআইইউটিইউসি, এইচএমএস, ইউটিইউসি-সহ ১০টি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা ভিডিয়ো বৈঠক করেন। তার পরেই চিঠি পাঠান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।