মূল্যবৃদ্ধি কিংবা শিল্পবৃদ্ধির মতো দেশে নিয়মিত বেকারত্বের ছবি তুলে ধরা হয় না কেন, প্রশ্ন উঠছিল বহু দিন ধরে। চাপের মুখে মাসে মাসে হিসাব প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার এই প্রথম তা বার করল কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক। এপ্রিলের কাজের বাজার সম্পর্কে ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ (পিএলএফএস) জানাল, গত মাসে সার্বিক বেকারত্বের হার হয়েছে ৫.১%। ১৫-২৯ বছর বয়সিদের মধ্যে কর্মহীনতা অনেকটাই বেশি, ১৩.৮%। আরও বেশি শুধু শহরাঞ্চল ধরে কষা হিসাবে, যা ১৭% পেরিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব তুলনায় একটু কম, ১২.৩%।
সরকারি মহলের দাবি, কত জন নিয়োগের যোগ্য হয়েও বেকার, তাতে নজরদারির চেষ্টা এটি। যাতে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা যায়। এত দিন শ্রম বাজারের এই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হত প্রতি তিন মাসে এবং বছরে। তবে বেকারত্বের হিসাবগুলি সামনে আসতেই ফের তোপের মুখে কেন্দ্র। অভিযোগ উঠেছে, সরকারের দেওয়া কর্মসংস্থানের সমস্ত প্রতিশ্রুতি কতটা ফাঁকা, তার প্রমাণ শহরাঞ্চলে ১৭ শতাংশের বেশি বেকারত্ব। শহরে সুযোগ-সুবিধা অনেকটাই বেশি। অথচ একাংশ রোজগার করতে চাইলেও পারছেন না। অনেকে মনে করাচ্ছেন, এর আগে ২০১৬-১৭ সালে ফাঁস হয়ে যাওয়া পরিসংখ্যান দেখিয়েছিল সেই সময় দেশে বেকারত্বের হার ৬.১%। যা ছিল ৪৫ বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি। সেই নিরিখে ৫.১% কম হলেও, ফারাক খুব বেশি নয় বলেও আঙুল উঠেছে। পুরুষদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৫.২%, মহিলাদের ৫%।
গত মাসের হিসাব অনুযায়ী, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে বেকারত্ব ১৪.৪%। আর তাদের ক্ষেত্রে শহরে কাজ না পাওয়ার হার চমকে ওঠার মতো, ২৩.৭%। গ্রামে ১০.৭%। শুধু পুরুষদের ধরলে ১৫-২৯ বছরের ক্ষেত্রে কর্মহীন ১৩.৬%, শহরে ১৫% এবং গ্রামে ১৩%।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)