ভারতের পাঁচটি গাড়ির সুরক্ষা ফের প্রশ্নের মুখে। ইউরোপের একটি বেসরকারি সংস্থার ‘ক্র্যাশ টেস্ট’-এ উতরোতে পারল না এ দেশে যথেষ্ট সংখ্যায় বিক্রীত ওই সব গাড়ি। আগেও এক বার এ দেশের আরও কয়েকটি গাড়ির এই দশা হয়েছিল।
তবে গাড়ি শিল্পের দাবি, শুধু ওই গাড়িগুলিই নয়, এ দেশে তৈরি সমস্ত গাড়িই ভারতের নিরাপত্তা ও পরিবেশ সংক্রান্ত সব বিধি মেনেই তৈরি। ওই পরীক্ষার ধরন নিয়েই প্রশ্ন তুলে শিল্পের বক্তব্য, এটি বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করবে।
ব্রিটেনের সংস্থা ‘গ্লোবাল এন সি এ পি’ (জি এন সি পি) মঙ্গলবার পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে জানিয়েছে, মারুতির সেলেরিও এবং ইকো, রেনো-র ক্যুইড, মহীন্দ্রার স্করপিও এবং হুন্ডাই-এর ইয়ন ওই ‘ক্র্যাশ টেস্ট’-এ উত্তীর্ণ হতে পারেনি। গাড়িগুলি ‘জিরো স্টার’ রেটিং পেয়েছে। বিশেষ করে বড়দের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় মাপকাঠি সেগুলি পূরণ করতে পারেনি। সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল ডেভিড ওয়ার্ডের দাবি, ধাক্কা লাগার পরেও গাড়ির মূল কাঠামো ঠিক থাকা জরুরি। তিনি বলেন, ‘‘যাত্রীদের সুরক্ষার প্রশ্নে সামনের এয়ারব্যাগ-সহ এটি অন্যতম প্রাক-চাহিদা।’’ রেনো-র মতো সংস্থা কী করে সুরক্ষার প্রশ্নে গোড়ায় এমন ক্যুইড গাড়ি আনল, তা নিয়েও বিস্মিত তিনি। উল্লেখ্য, তাঁরা যে-তিনটি ক্যুইড পরীক্ষা করেছিলেন, তার মধ্যে একটিতে এয়ারব্যাগ ছিল।
বস্তুত, এয়ারব্যাগ ছাড়া এ ধরনের পরীক্ষার প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে গাড়ি শিল্প। যেমন মহীন্দ্রা বলেছে, ভারতে সুরক্ষার মাপকাঠির চেয়ে বাড়তি ব্যবস্থা থাকে তাদের গাড়িতে। পাশাপাশি জিএনসিপি যে-স্করপিওটিতে পরীক্ষা চালিয়েছিল, তাতে এয়ারব্যাগ ছিল না। সংস্থার দাবি, অধিকাংশ স্করপিওতেই এয়ারব্যাগ থাকে। এবং স্করপিও-র ৭৫ শতাংশ ক্রেতাই এয়ারব্যাগ-সহ গাড়ি কেনেন। রেনো, মারুতি-সুজুকিরও একই দাবি। যেমন মারুতি জানিয়েছে, তাদের ভিতারা-ব্রেজা ২০১৭-তে যে-নিয়ম চালু হওয়ার কথা, এখনই তা পূরণ করে। মারুতি-সুজুকি এটাও বলেছে, যে-গতিতে (ঘণ্টায় ৬৪ কিমি) জিএনসিপি পরীক্ষা চালিয়েছে, তা শুধু ভারতে নয়, ইউরোপ-আমেরিকার নিয়মের (৫৬ কিমি) চেয়েও বেশি।
গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম-এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সুগত সেনেরও দাবি, ‘‘এয়ারব্যাগ রাখার সুযোগ থাকে। তবে ক্রেতারা পছন্দ মতো গা়ড়ি কেনেন। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিক্লস আইনে সুরক্ষা বিধি মেনেই দেশে প্রতিটি গাড়ি তৈরি হয়।’’