চা বাগান ‘রুগ্ণ’ হয়ে পড়েছে দাবি করে শুক্রবার রাতে তা ছাড়লেন কর্তৃপক্ষ। কর্মহীন হয়ে পড়লেন আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের তুরতুরি চা বাগানের ৫০০ জন শ্রমিক।
অভিযোগ, ওই চা বাগানের ৫০১ জন শ্রমিক কয়েক মাস ধরে ঠিক মতো বেতন পাচ্ছিলেন না। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটির টাকাও কয়েক মাস জমা পড়েনি। তার পরেও তাঁরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শনিবার শেষ ১২ দিনের সম্পূর্ণ মজুরি দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই শুক্রবার রাতে বাগান কর্তৃপক্ষ পাতা কম উৎপাদন হওয়া, পোকামাকড়ের আক্রমণ, আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি-সহ একাধিক কারণ দেখিয়ে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝুলিয়ে বাগান ছাড়েন। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, সে কারণে সজাগ ছিল শামুকতলা থানার পুলিশ। দ্রুত বাগান খোলার দাবিতে এ দিনই সভা করেন শ্রমিকেরা।
গত ১৯ মে কালচিনির মধু চা বাগান বন্ধ হয়। তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, ‘‘প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বাগানটি খোলার চেষ্টা করব।’’ সিটুর আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ গুণ বলেন, ‘‘অসহায় শ্রমিকদের কথা ভেবে প্রশাসনের উচিত দ্রুত চা বাগানটি খোলা।’’
মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, কাল, সোমবার বাগান খোলার ব্যাপারে শ্রম দফতর ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ডাক দিয়েছে। কুমারগ্রামের বিডিও রজতকুমার বালিদা বলেন, ‘‘আমরা চা শ্রমিকদের পাশে রয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেজানানো হয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)