শারীরিক দিক দিয়ে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে ৮০ শতাংশের কোনও স্বাস্থ্য বিমা নেই। প্রকল্প কেনার জন্য আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন তাঁদের ৫৩ শতাংশই। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এটা ওই সব মানুষদের প্রতি বঞ্চনার ছবি। যা প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্য বিমার লক্ষ্য মাথায় রাখলে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা এই সুরক্ষার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দাবিদার।
সমীক্ষাটি চালিয়েছে বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং উন্নতি নিয়ে কাজ করা ‘ন্যশনাল সেন্টার ফর প্রোমোশন অব এমপ্লয়মেন্ট’। রিপোর্ট প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন বিমা সংস্থা এবং নিয়ন্ত্রক আইআরডিএআই-এর কর্তারাও। দেশের ৩৪টি রাজ্যে ৫০০০ মানুষের মধ্যে হয়েছে সমীক্ষা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শারীরিক কারণ দেখিয়ে বিমা সংস্থা তাঁদের প্রকল্প বিক্রি করতে চায়নি। যাঁদের স্বাস্থ্য বিমা দেওয়া হয়নি, তাঁদের মধ্যে রয়েছে থ্যালাসেমিয়া, অটিজ়মে আক্রান্তরা। সংগঠনটির অভিযোগ, ওই সব ব্যক্তিদের বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক আইআরডিএআইয়ের নির্দেশও মানছে না।
সমীক্ষকরা এটাও জানাচ্ছেন, যদি বা কেউ বিমা করতে পারলেন, তাঁর পক্ষে সেটা চালিয়ে যাওয়া মুশকিল। কারণ, প্রিমিয়াম অত্যন্ত চড়া। বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের অনেকে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নন বলেও উঠে এসেছে সমীক্ষায়।
সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় বিচার এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের সচিব মনমীত নন্দা বলেন, ‘‘এর সুরাহার জন্য সহায়ক প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন মন্ত্রকের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় সাধন দরকার। কারণ, বিষয়টির সঙ্গে একাধিক মন্ত্রক জড়িত রয়েছে।’’ নন্দার দাবি, আইআরডিএআইয়ের ভূমিকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের ক্ষমতায়ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)