বিশ্ব যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে ২০৩০ সালে ৫৭.৫ কোটি মানুষ চূড়ান্ত দারিদ্রের মধ্যে থাকবেন। স্কুল পর্যন্ত পৌঁছবে না ৮.৪ কোটি শিশু। নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা আনতে লাগবে ২৮৬ বছর।রাষ্ট্রপুঞ্জের সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠেএসেছে এই আশঙ্কার কথা। জীবনের মান উন্নত করতে ২০১৫ সালে ১৭টি ক্ষেত্রে নানা বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলেন রাষ্ট্রনেতারা। রিপোর্ট বলছে, ওই ১৪০টি লক্ষ্যের মাত্র ১৫% চলতি দশকে পূরণ হবে।
লক্ষ্য পূরণের পথে বাধা হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনা, জলবায়ু বদলের সমস্যা ও করোনায় উন্নয়নশীল দেশগুলির আর্থিক ক্ষতিই কারণ বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। ১০৪টি দেশের মধ্যে করা সমীক্ষা বলছে, তিন দশকে বৈষম্য দূর করায় যে অগ্রগতি হয়েছিল, তা ধাক্কা খেয়েছে করোনায়। মানবাধিকার ভঙ্গ ও যুদ্ধের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ১১ কোটি মানুষ। বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। না খেতে পাওয়া মানুষের সংখ্যা হয়েছে ২০০৫ সালের পরে সর্বোচ্চ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরেসের মতে, “এখনই সক্রিয় না হলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হবে। এই অগ্রগতি ব্যাহত হওয়ার অর্থবৈষম্য আরও বাড়া। তাঁরা চান লক্ষ্য পূরণের নতুন পরিকল্পনা তৈরি হোক।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)