করোনা এবং তার পর থেকে দেশে বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাড়ি বসে পণ্য কেনার প্রবণতা মাথা তুলেছে। সেই সুযোগে দৈনন্দিন জীবনে জায়গা করে নিয়েছে ইনস্টামার্ট, ব্লিঙ্কিট, জ়েপটো-র মতো সংস্থা। যারা ১০-২০ মিনিটের মধ্যে বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবসা করে। এই ধরনের সংস্থা নিয়ে এ বার নিজেদের আশঙ্কার কথা জানাল ভোগ্যপণ্য ডিস্ট্রিবিউটরদের সংগঠন এআইসিপিডিএফ। বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে তারা। সেখানে সংগঠনের দাবি, কুইক কমার্সের অবাধ ব্যবসার ফলে দেশের লক্ষ-কোটি সাধারণ খুচরো ব্যবসায়ী এবং ডিস্ট্রিবিউটরের রুজি-রুটিতে টান পড়ছে। ওই সব সংস্থা প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির (এফডিআই) নিয়ম ভাঙছে বলেও ইঙ্গিত করে তদন্তের দাবি তুলেছে তারা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে আক্রমণ করেছিলেন গয়াল। এই ক্ষেত্রের বিরুদ্ধে নন বলে জানিয়ে তাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন, অ্যামাজ়নের মতো ই-কমার্স সংস্থা এফডিআই-এর নিয়ম মানে না। ক্রেতাদের বোঝা উচিত ওই সব সংস্থার থেকে পণ্য কিনলে আদতে কারা লাভবান হয়। ই-কমার্সের জনপ্রিয়তার ফলে সাধারণ বিপণিগুলি মার খাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বার সেই একই সুরে কুইক কমার্স সংস্থাগুলি নিয়ে আপত্তি তুলেছে এআইসিপিডিএফ। দাবি করেছে, এর ফলে ছোটখাটো বিপণিগুলি বন্ধের মুখে দাঁড়িয়ে। বিশেষত, ওই সব সংস্থা এখন বড় বড় ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলির সরাসরি ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করছে। যাতে প্রথাগত ডিস্ট্রিবিউটরেরা মার খাচ্ছেন। কী ভাবে কুইক কমার্স সংস্থাগুলি ‘আইন ফাঁকি দিয়ে’ সরাসরি পণ্য বিক্রি করছে, সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা। আর্জি জানিয়েছে, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসুক কেন্দ্র। সেখানে থাকুন খুচরো ব্যবসা, ভোগ্যপণ্য সংস্থা এবং কুইক কমার্স সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)