Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

পুজোর মুখে সিকিমে সরাসরি বিমান

নতুন দু’টি বিমান পরিষেবার পরে সপ্তমীর দিন, ১৬ অক্টোবর থেকে আরও তিনটি বিমান পাকিয়ং থেকে চালু হবে। এর মধ্যে একটি কলকাতার বিমান ও দু’টি গুয়াহাটি আসা-যাওয়ার বিমান রয়েছে।

পুজোর মুখে চালু হতে চলেছে দু’টি বিমান পরিষেবা। ছবি: এএফপি।

পুজোর মুখে চালু হতে চলেছে দু’টি বিমান পরিষেবা। ছবি: এএফপি।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:৪৩
Share: Save:

পুজোর মুখে কলকাতার সঙ্গে সিকিমের একমাত্র বিমানবন্দর পাকিয়ং-এ বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার তরফে ৪ অক্টোবর থেকে কলকাতার সঙ্গে সরাসরি দু’টি বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে। ওই দিন সকাল সাড়ে ন’টায় কলকাতা থেকে বিমানটি ছেড়ে ১০.৫৫ মিনিটে পাকিয়ং-এ পৌঁছবে। ৭৮ আসনের ‘কিউ ৪০০’ বিমানটি ১১টা ১৫ মিনিটে ফের পাকিয়ং থেকে উড়ে বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার দমদম বিমানবন্দর পৌঁছবে। গ্যাংটক শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে পাহাড়ের ঢাল কেটে পাকিয়ং বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে। নতুন দু’টি বিমান পরিষেবার পরে সপ্তমীর দিন, ১৬ অক্টোবর থেকে আরও তিনটি বিমান পাকিয়ং থেকে চালু হবে। এরমধ্যে একটি কলকাতার বিমান ও দু’টি গুয়াহাটি আসা-যাওয়ার বিমান রয়েছে।

একধারে কলকাতার মাধ্যমে দেশের অন্যপ্রান্তে যোগাযোগ, অপরদিকে গুয়াহাটি দিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়তেই এই পাঁচটি বিমান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সপ্তমী থেকে শুরু হওয়া কলকাতার বিমানটি সাড়ে ৪টা নাগাদ সিকিমে পৌঁছবে। গুয়াহাটির বিমানগুলি একটি সকালে এবং আরেকটি দুপুরে যাতায়াত করবে। আপাতত দু’টি গন্তব্যেই প্রতিটি টিকিটের দর ২৮০০-৩৫০০ টাকার মধ্যে রাখা হয়েছে।

সিকিম সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘শুধুমাত্র একটি জাতীয় সড়ক দিয়ে দেশের সঙ্গে সিকিম যুক্ত। ধস বা বন্‌ধ হলেই সিকিম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হেলিকপ্টার পরিষেবা থাকলেও তা সীমিত। এই বিমানবন্দরটি চালু হওয়ায় সেই সমস্যা মিটবে। ধীরে ধীরে বিমানের সংখ্যা বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।’’

২০০৮-এ কেন্দ্রের ক্যাবিনেট কমিটি অব ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স বিমানবন্দরটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। ২০০৯-এ তৎকালীন বিমানমন্ত্রী প্রফুল্ল পটেল এর শিলান্যাস করেন। ২৬৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়ে কাজ শুরু হয়ে যায়। পরে ২০১৪-য় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে ক্ষোভ দেখানো শুরু করতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০১৫-তে কাজ শুরু হয়ে এ বছরের গোড়ায় তা শেষ হয়। গত মার্চে প্রথম বায়ুসেনার একটি বিমান বিমানবন্দরে নামা-ওঠা করে। পরে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা পাকিয়ং-এ পরীক্ষামূলকভাবে আরেকটি বিমান চালায়।

১৭০০ মিটার রানওয়ের পশ্চিমে খাড়া পাহাড় থাকায় পাইলটদের নির্দেশে দিনের বেলায় আলোর ব্যবস্থা করা হয়। শেষে গত মে মাসে বিমানবন্দরটিকে বাণিজ্যিক লাইসেন্স দেওয়া হয়। সব ঠিক থাকলে বেসরকারি বিমান সংস্থাটির পাশাপাশি ভুটানের একটি বিমান সংস্থাও আগামী জানুয়ারি থেকে পারো থেকে পাকিয়ং পর্যন্ত বিমান চালাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Flight Kolkata-Sikkim
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE