রিলায়্যান্স জিও এবং রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে এয়ারটেলের দায়ের করা অভিযোগ খারিজ করল প্রতিযোগিতা কমিশন (সিসিআই)। স্পষ্ট জানাল, মুকেশ অম্বানীর সংস্থা দু’টির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগ এ ক্ষেত্রে অন্তত ধোপে টেকেনি।
জিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে কমিশনে যায় এয়ারটেল। গ্রাহক টানতে জিও-র আনা নানা প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা। ইঙ্গিত দেয়, মুকেশের টেলি পরিষেবা সংস্থার পক্ষে বিপুল টাকা ঢালা সম্ভব হচ্ছে বাজারে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের রমরমা ব্যবসার কারণে।
কিন্তু শুক্রবার সেই অভিযোগ উড়িয়ে কমিশনের যুক্তি, বাজার দখলের লক্ষ্যে বিপুল টাকা ঢালা দোষের নয়। কারণ, সে ভাবে দেখলে তো লগ্নিই আটকে যাবে। তা ছাড়া, টেলি পরিষেবার মতো তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে নতুন পা রাখা কোনও সংস্থার পক্ষে গ্রাহক টানতে আকর্ষণীয় প্রকল্প ঘোষণাও স্বাভাবিক বলে মনে করছে তারা।
তবে এরই মধ্যে জিও-র প্রতিদ্বন্দ্বীরা কিছুটা স্বস্তির খোঁজ পেতে পারে তাদের উপর জরিমানা নিয়ে কেন্দ্রের মনোভাবে। ফোন করার জন্য জরুরি ‘পয়েন্ট অব ইন্টারকানেকশন্স’ মুকেশের টেলি সংস্থাকে দেওয়া নিয়ে অসযোগিতার কারণে এয়ারটেল, ভোডাফোন ও আইডিয়াকে ৩,০৫০ কোটি টাকা জরিমানার সুপারিশ করে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে টেলিকম কমিশন। কেন্দ্র চায় ট্রাইয়ের সুপারিশের বিরুদ্ধে কমিশনেই মতামত জানাতে। ট্রাইকে অলিখিত ভাবে তা জানানো হয়েছে। এমনকী সুপারিশের পাল্টা যুক্তি আছে কি না দেখতে কমিটি তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, শিল্পের কাছে আর রাজনৈতিক ভাবে যাতে ভুল বার্তা না-যায়, তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। এ দিকে, ২২ জুন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও টেলিকমমন্ত্রী মনোজ সিন্হার সঙ্গে দেখা করবেন টেলি পরিষেবা সংস্থাগুলির কর্ণধাররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy