রাজস্ব সচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে।
আয়করের দুই বিকল্প নিয়ে দেশ জোড়া বিভ্রান্তি কাটাতে এ বার মাঠে নামলেন খোদ রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে। তবে সোমবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনিও মেনেছেন যে, কম হারে আয়কর গোনার নতুন বিকল্পে লাভবান হবেন তাঁরাই, যাঁরা বিভিন্ন করসঞ্চয়ী প্রকল্পে টাকা রাখতে তেমন আগ্রহী নন বা যাঁদের তেমন সামর্থ্য নেই।
বিশেষজ্ঞেরা ইতিমধ্যেই হিসেব কষে দেখিয়েছেন যে, এখন যিনি যত বেশি করছাড়ের সুবিধা ভোগ করেন, নতুন নিয়মে এখনকার তুলনায় কম কর গোনার সম্ভাবনা তাঁর তত কম। এ দিন কার্যত সে কথাই শোনা গিয়েছে রাজস্ব সচিবের মুখে। তবে তাঁর দাবি, এতে কারও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কারণ, খোলা থাকছে আয়কর গোনার দুই বিকল্পই। কেউ যদি ৮০সি ধারায় দেড় লক্ষ টাকা জমানোয় ছাড় এবং ৫০ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা নিয়ে চালু নিয়মে থাকতে চান, তিনি স্বাগত। তেমনই কেউ যদি ওই বাধ্যবাধকতা না-চান কিংবা অত টাকা জমাতে না-পারেন, তা হলে তিনি বেছে নিতে পারেন নতুন নিয়মের বিকল্পকে। রিটার্ন দাখিলের সময়ে দুই রাস্তাই খোলা থাকবে সামনে।
অজয়ের দাবি, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে যে ৫.৮ কোটি জন রিটার্ন দাখিল করেছিলেন, তাঁদের ৯০ শতাংশেরই বিভিন্ন করসঞ্চয়ী খাতে (৮০সি, ৮০ডি, ৮০সিসিডি) রাখা টাকার অঙ্ক ২ লক্ষের নীচে। এঁদের অনেকে তাই নতুন নিয়মে লাভবান হবেন বলে তাঁর দাবি। সচিবের কথায়, ‘‘বলছি না যে, সকলেরই এতে সুবিধা হবে। হয়তো তা হবে ৩০-৪০% মানুষের। কিন্তু যদি ৩০% জনও উপকৃত হন, তা হলেও তা বড় ব্যাপার।’’ তাঁর দাবি, ‘‘যাঁরা নতুন চাকরিতে ঢুকেছেন, এখনও করসঞ্চয়ী খাতে টাকা তেমন রাখেননি, পিএফ ও বিমায় বিনিয়োগ অল্প, ভাবেননি বাড়ি কেনার কথাও— এই নতুন নিয়ম মূলত তাঁদের জন্য।’’ যে সমস্ত পেনশন নির্ভর প্রবীণের বাড়ি কেনা কিংবা পিএফে টাকা রাখার দায় নেই, যে সমস্ত ব্যবসায়ী এলটিসি কিংবা এইআরএ-র সুবিধা পান না, তাঁদের পক্ষেও নতুন নিয়ম সুবিধাজনক বলে সচিবের দাবি। মন্ত্রক সূত্রে কাল্পনিক আয় ধরে যে সমস্ত উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, ছাড়ের সুবিধা কম নিলে বাড়তি সুবিধার ছবি সেখানেও স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy