প্রতীকী চিত্র
পেনশন প্রাপকদের টাকা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাহকের কাছে নথি চেয়ে থাকে ব্যাঙ্কগুলি। এ সব ক্ষেত্রে এক একটি ব্যাঙ্ক এক এক রকম নিয়মে নথি চায়। ফলে অনেক সময়ে অসুবিধা হল গ্রাহকের। তাই একাধিক মহল থেকে পেনশন এবং পেনশন প্রাপকদের কল্যাণ বিষয়ক দফতরের কাছে সমস্যার কথা জানানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতে শনিবার কর্মীবর্গ মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে পেনশন প্রাপকদের জন্য সব ব্যাঙ্ককেই একই নিয়ম মানতে হবে।
ব্যাঙ্কগুলির জন্য জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে—
•এখন থেকে মূল পেনশন প্রাপক মারা গেলে তাঁর স্ত্রী বা স্বামীকে ফ্যামিলি পেনশন পাওয়ার জন্য ১৪ নম্বর ফর্ম জমা দিতে হবে না। এ ক্ষেত্রে মূল প্রাপকের সঙ্গে তাঁর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। তিনিই যে পেনশন পাওয়ার যোগ্য, তা সংশ্লিষ্ট অর্ডারে (পিপিও) উল্লেখ থাকতে হবে। মূল পেনশন প্রাপক মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেট ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে।
•মূল প্রাপকের সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলে পারিবারিক পেনশনের জন্য স্বামী বা স্ত্রীকে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে না।
•নিজেদের কাছে জমা কেওয়াইসি সংক্রান্ত নথি থেকেই দাবিদারের পরিচয় মেলাবে ব্যাঙ্কগুলি। এ জন্য হাজিরা দিতে হবে না।
•প্রাপককে আধার ভিত্তিক ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট পাঠালেই চলবে।
•মূল বা ফ্যামিলি পেনশনের ক্ষেত্রে নভেম্বরে মাসে লাইফ সার্টিফিকেট দিতে হবে। বয়স ৮০ বা তার বেশি হলে অক্টোবরেও তা দেওয়া যাবে।
•স্থায়ী ভাবে প্রতিবন্ধী সন্তানের ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশন পাওয়ার জন্য নতুন করে সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে না। প্রতিবন্ধী সন্তানের কোনও আয় না-থাকার সার্টিফিকেট নিজেই দিতে পারবেন (সেলফ সার্টিফাই)।
•প্রতিবন্ধী সন্তান পেনশন প্রাপক হলে, অভিভাবককে ৫ বছর অন্তর সে সংক্রান্ত সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
•স্ত্রী বা স্বামী পুনর্বিবাহ না-করলে বিবাহ সংক্রান্ত সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে না। তবে পেনশন শুরুর সময়েই তাঁকে অঙ্গীকার করতে হবে যে, যখনই করুন তা ব্যাঙ্কে জানাবেন।
•সরকারি চাকুরের বিধবা স্বামী হা স্ত্রী পেনশন প্রাপক হলে ও তাঁর সন্তান না-থাকলে তিনি পুনর্বিবাহ করলেও পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবেন। আবার প্রতিবন্ধী সন্তান পেনশন প্রাপক হলেও তিনি বিয়ে করলে পেনশন পাবেন।
•প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর, ১, ১৫ ও ২৫ নভেম্বর গ্রাহককে লাইফ সার্টিফিকেট জমার কথা মনে করিয়ে এসএমএস পাঠাতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। তার মধ্যেও কেউ তা না-দিলে তাঁদের তালিকা ১৫ ডিসেম্বরের পরে তৈরি করে ফের এসএমএস পাঠাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy