দেশে প্রতি বছর জুয়া খেলে লেনদেন হয় প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি টাকার। কিন্তু বেশির ভাগটাই বেআইনি। ফলে না-আছে আইনের রাশ টেনে একে ঘিরে অবাঞ্ছিত ঘটনা আটকানোর পথ, না-আছে লেনদেনে কর বসিয়ে সরকারের আয় বাড়ানোর উপায়। আর এ বার এই দুই যুক্তি দর্শিয়েই পয়সা দিয়ে বাজি ধরা বা বেটিং-গ্যাম্বলিং সংক্রান্ত ব্যবসার আইনি তকমা আদায়ে উদ্যোগী হয়েছে অল ইন্ডিয়া গেমিং ফেডারেশন (এআইজিএফ)।
সংগঠনের সিইও রোনাল্ড ল্যান্ডার্স জানান, জুয়াকে কেন আইনি স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, তার কারণ ব্যাখ্যা করে স্মারকলিপি তৈরি করেছেন তাঁরা। এর ভিত্তিতে তাঁরা প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে আন্তর্জাতিক খেলাগুলি নিয়ে বেটিং করার ব্যাপারে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাঁর যুক্তি, ‘‘জুয়া খেলে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিপদে পড়ার অভিযোগ হামেশাই মেলে। কিন্তু আইনি স্বীকৃতি পেলে কারা, কী ভাবে জুয়া খেলতে পারে, তার বিধি তৈরি হবে। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বিষয়টিকে।’’
ভারতে ঘোড় দৌড় যদি আইনসিদ্ধ হয়, তবে অন্য কোনও খেলার উপর বেটিং-ই বা হবে না কেন, এ প্রশ্ন তুলেছেন বণিকসভা ফিকি-র ডিরেক্টর এবং খেলা সংক্রান্ত কাউন্সিলের সচিব রাজপাল সিংহ-ও।
এ ছাড়া, জুয়াকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হলে সরকারের রাজস্ব আয়ের নতুন রাস্তাও খুলবে বলে মনে করেন ল্যান্ডার্স। তাঁর দাবি, ‘‘বছরে ৫০ লক্ষ কোটির লেনদেন বেআইনি ভাবে হয় বলে সরকার কর পায় না। অথচ জিএসটি জমানায় এর থেকে ৩০% হারে কর আদায় সম্ভব।’’ ফেডারেশন বলছে, কর বাবদ পাওয়া টাকার একাংশ দিয়ে দেশে খেলাধুলোর উন্নয়নে তহবিল গড়ার প্রস্তাবও স্মারকলিপিতে আছে।
জুয়া সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের অধিকার রাজ্যগুলির। ভারতে সিকিম খেলাধুলো সংক্রান্ত বেটিংকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে। সেখান থেকে সিকিম সরকারের আয় ১০০ কোটি ছুঁয়েছে।
পর্যটন প্রসারেও জুয়ার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করে এআইজিএফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy