E-Paper

লেনদেন স্থানীয় মুদ্রায়? ডলারের বিকল্প খুঁজতে বাধ্য করছে আমেরিকাই

বাণিজ্য উপদেষ্টা জিটিআরআই-এর দাবি, ট্রাম্প চোটপাট করার সময় মাথায় রাখেননি, তাঁর দেশের আর্থিক ও ভূ-রাজনৈতিক পদক্ষেপই কিছু দেশকে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনে বাধ্য করছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫ ০৯:২৪
ডলারের দিন শেষ?

ডলারের দিন শেষ? —প্রতীকী চিত্র।

সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিকস গোষ্ঠীর দেশগুলিকে হুমকি দিয়েছেন, ডলার বাদে অন্য কোনও মুদ্রায় বাণিজ্য চালালেই সকলের উপরে ১০% আমদানি শুল্ক বসাবেন। এই গোষ্ঠীর সদস্য ভারতও। বাণিজ্য উপদেষ্টা জিটিআরআই-এর দাবি, ট্রাম্প চোটপাট করার সময় মাথায় রাখেননি, তাঁর দেশের আর্থিক ও ভূ-রাজনৈতিক পদক্ষেপই কিছু দেশকে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনে বাধ্য করছে।

ব্রিকস দেশগুলি হল— ভারত, ব্রাজ়িল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইজিপ্ট, ইথিয়োপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। জিটিআরআই বলছে, আমেরিকার রাশিয়া, ইরান, ভেনেজুয়েলার মতো দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এবং তাদের ‘সুইফ্‌ট’ ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ওই দেশগুলির ডলারে দাম মেটানোর পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভারত এবং চিন বাধ্য হচ্ছে স্থানীয় মুদ্রায় রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেন করতে। উল্লেখ্য, সুইফ্‌ট একটি আন্তর্জাতিক বার্তা পাঠানোর ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে এক দেশের ব্যাঙ্ক আর এক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এবং অর্থ মেটানোর নির্দেশ দেয়।

জিটিআরআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, “ডলারে ব্যবসা না করাটা আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনও বিদ্রোহ নয়। ওটা ছাড়া আর পথ খোলা ছিল না দেশগুলির। যে কারণে চিন ও রাশিয়ার মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি বাণিজ্য হয় রাশিয়ার মুদ্রা রুবল কিংবা চিনের ইউয়ানে। ভারত রুশ তেল কেনে টাকায় বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দিরহামে। সৌদি আরবও তেলের দাম স্থানীয় মুদ্রায় নিতে রাজি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Currency Tariff War

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy