অমিত মিত্র।
চাহিদা বৃদ্ধি বা সরকারি সাহায্য— কোনও কিছুর আশাতেই না-থেকে কম দামে ফ্ল্যাট বিক্রির পরামর্শ দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। যাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন আবাসন শিল্পের কারবারিরা। শনিবার তা নিয়েই গয়ালকে বিঁধলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর মন্তব্য, অর্থনীতির সঙ্কট কাটাতে কেন্দ্র আদৌ কোনও আর্থিক সাহায্য করেনি। এই অবস্থায় গয়ালের বক্তব্য শুনে তিনি ‘লজ্জিত’। পাশাপাশি তাঁর নিজের পরামর্শ, রাজ্যে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের দক্ষতা যাচাই করুক আবাসন সংস্থাগুলি। ভিন্ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার আগে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এখানেই কাজে নিয়োগ করুক।
করোনা পরবর্তী সময়ে আবাসন ও নির্মাণ শিল্পের ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে এ দিন সিআইআইয়ের ভিডিয়ো-বৈঠকে গত ক’বছরের আর্থিক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অমিতবাবু। দাবি করেন, দেশের অর্থনীতি বেহাল হতে শুরু করেছে আগে থেকেই। তাই ভাটার টান এই শিল্পেও।
অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সরকার তাকে জিডিপির ১০% বলে দাবি করলেও অমিতবাবুর মতে, তা আসলে ‘মরীচিকা’। আদতে ৯ শতাংশই ঋণ। তাই গয়ালের কম দামে ফ্ল্যাট বেচার পরামর্শ শুনে তিনি লজ্জিত। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের সুরেই দরিদ্রদের নগদ সাহায্য জরুরি বলে তাঁর মত।
রাজ্যের তরফে আবাসন শিল্পের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও অমিত জানান, তাঁরা আর্থিক সাহায্য করতে আপারগ। কারণ কর আদায় প্রায় নেই। আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাইয়ের অন্যতম কর্তা সুশীল মোহতা জানান, তাঁরাও আর্থিক সাহায্য চাইছেন না। তবে কিছু নীতিগত সাহায্য চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy