গত কয়েক মাসে জিএসটি থেকে বিপুল আয়ের কৃতিত্ব দাবি করেছে মোদী সরকার। প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্র যদি রাজ্যের প্রাপ্য টাকা না দেয় তা হলে রাজ্যও কেন্দ্রের জিএসটি বন্ধ করে দিতে পারে মঙ্গলবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জিএসটি পরিষদের অনিয়মিত বৈঠক নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের উদ্দেশে কার্যত পত্রবোমা ছুড়লেন মুখ্যমন্ত্রীর ও অর্থ বিভাগের প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র।
জিএসটি পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ত্রৈমাসিকে অন্তত এক বার বৈঠক ডাকতে হয়। কিন্তু গত সাড়ে চার মাস তা ডাকা হয়নি। অনলাইন গেম, ক্যাসিনো, ঘোড়দৌড়ের জিএসটি এবং জিএসটির যুক্তিসঙ্গত হার ঠিক করতে গঠন করা দুই মন্ত্রিগোষ্ঠীর রিপোর্ট এক বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও চূড়ান্ত হয়নি। অমিতের বক্তব্য, জিএসটি পরিষদ পরিচালনা বিধির ৬ নম্বর নিয়ম মেনে প্রত্যেক ত্রৈমাসিকে বৈঠক ডাকতে হয়। সম্মসম্মত ভাবেই সেই নিয়ম তৈরি হয়েছিল। চিঠিতে অমিত লিখেছেন, ‘‘আপনি তা পুরো অমান্য করে গত সাড়ে চার মাসে পরিষদের একটিও বৈঠক ডাকেননি। পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী বা অন্য সদস্যদের দেরির কারণ নিয়ে কিছু জানানোও হয়নি। এটা শুধু নিয়মের অবহেলা নয়, আপনার নেতৃত্বাধীন দেশের একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানেরও অবমাননা।’’ মমতার মন্তব্য প্রসঙ্গে আজ তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ফের প্রথম যিনি কেন্দ্রের দাদাগিরির বিরুদ্ধে জিএসটি নিয়ে সরব হলেন।’’
গত কয়েক মাসে জিএসটি থেকে বিপুল আয়ের কৃতিত্ব দাবি করেছে মোদী সরকার। তা দেখিয়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলেও যুক্তি দিচ্ছে। এ নিয়েও নির্মলাকে কটাক্ষ করে অমিত লিখেছেন, সব রাজ্যই জিএসটি আয় বাড়াতে দুর্দান্ত কাজ করছে। লাভবান হচ্ছে কেন্দ্রও। পশ্চিমবঙ্গে জিএসটি রিটার্ন খেলাপে কঠোর নীতি নেওয়া হয়েছে। গত বছর ৭০% রিটার্ন এ বছর এপ্রিল-অক্টোবরে বেড়ে ৯৩% হয়েছে। অমিতের অনুরোধ, নিয়ম মেনে পরিষদের বৈঠক ডাকুন নির্মলা। এই কর থেকে আয় বৃদ্ধি নিয়ে বড়াইয়ের সময় যুক্তরাষ্ট্রীয় ধর্ম মেনে রাজ্যগুলিকেও কৃতিত্ব দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy