বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাহিদা কমছে আই ফোনের। আর এই অবস্থায় ভারতকেই পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে অ্যাপল।
সম্প্রতি আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে এই মার্কিন সংস্থা। ২০০৭ সালে প্রথমবার বাজারে আসার পর এই প্রথম তাদের আই ফোন বিক্রি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে সর্বনিম্ন। চিন, আমেরিকা এবং জাপানের মতো দেশে আই ফোন বিক্রির নিরিখে অন্যবারের মতো প্রত্যাশা ছাপানো বৃদ্ধি দেখা যায়নি। ১৩ বছরে এই প্রথম আয় কমবে বলেও পূর্বাভাস করেছে আই-ফোন, আই-প্যাড নির্মাতা সংস্থাটি। অথচ এই অবস্থায় ভারতে আই ফোন বিক্রি বৃদ্ধির হার ৭৬%।
সংস্থা কর্ণধার টিম কুকেরও দাবি, চিনের তুলনায় এখন ভারতের জনসংখ্যার গড় বয়স অনেকটাই কম। যার মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি অংশের ২৫ বছরও পেরোয়নি। পাশাপাশি, ভাল পণ্য ব্যবহারের চাহিদাও রয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এবং হাতে রয়েছে খরচ করার মতো টাকা। তা ছাড়া কেন্দ্রের সংস্কারে তাঁদের আস্থা রয়েছে ও দেশে ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি নিয়ে সংস্থা আশাবাদী। এই সব কারণেই এখানে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নির পথে হাঁটতে তাঁরা আগ্রহী, দাবি কুকের। সম্প্রতি ভারতে নিজস্ব খুচরো বিপণি খোলার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদনের মাধ্যমেই যার সূত্রপাত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলেরও মতে, আই ফোন বিক্রি বৃদ্ধির নিরিখে ভারত প্রথম সারিতে থাকলেও, এখানে তাদের ৭০% ফোনের দামই ১৫০ ডলারের কম। সেখানে ‘আই ফোন ৬ এস’-এর বেসিক মডেলের দামই প্রায় ৭০০ ডলার। ফলে এখনই এত দামি ফোনের চাহিদা এখানে বাড়া নিয়ে কিছুটা সংশয়ে তারা। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে চিনের তুলনায় ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির জনসংখ্যা অনেকটাই কম। ফলে ভারতে আই ফোন বিক্রির নিরিখে চিনের মতো সাফল্য পেতে অ্যাপলকে আরও বেশ কিছু বছর অপেক্ষা করতে হবে বলেও ধারণা তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy