ফাইল চিত্র।
বাজারে প্রথম শেয়ার (আইপিও) ছাড়ার জন্য জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) ইসু বুধবার খুলল। প্রথম দিনেই নির্দিষ্ট মোট শেয়ারের ৬৭% আবেদন জমা পড়েছে। বাজার সূত্রের খবর, পলিসিহোল্ডারদের বরাদ্দের দ্বিগুণ, কর্মীদের বরাদ্দের চেয়েও ১৭% বেশি এবং সাধারণ লগ্নিকারীদের ৬০% আবেদন জমা পড়েছে। তবে এ দিন যোগ্য আর্থিক সংস্থা এবং নন-ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরদের থেকে তেমন সাড়া মেলেনি। আবেদন জমা পড়েছে যথাক্রমে বরাদ্দের ৩৩% এবং ২৬%। ৯ মে সোমবার ইসু বন্ধ হবে।
ঘটনাচক্রে এ দিনই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ বাড়ানোয় বিপুল পড়েছে শেয়ার বাজার। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের বক্তব্য, অস্থির বাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার ছাড়া কার্যত নজিরবিহীন। যে কারণে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গত মার্চে এলআইসির শেয়ার ছাড়া হয়নি। এখন যখন গোটা অর্থবর্ষ হাতে রয়েছে তখন তড়িঘড়ি আইপিও-র বাজারে পা ফেলার কারণ কী? অনেকের বক্তব্য, এই আইপিও থেকে সরকার হয়তো লাভবানই হবে। কিন্তু পড়তি বাজারে আরও বড় অঙ্কের অর্থ রাজকোষে তোলার সুযোগ হাতছাড়া হবে না কি? উল্লেখ্য, বিরোধীরা ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন, বিদেশি লগ্নিকারীদের চাপে জলের দরে এলআইসির শেয়ার ছাড়া হচ্ছে।
এলআইসির আইপিও-র মূল্যবন্ধনী ঠিক হয়েছে ৯০২-৯৪৯ টাকা। তবে সাধারণ লগ্নিকারী এবং সংস্থার কর্মীরা শেয়ার প্রতি ৪৫ টাকা ছাড় পাচ্ছেন। পলিসিহোল্ডারেরা ৬০ টাকা। নেটে ছাড়াও অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্টেট বাই ব্লকড অ্যামাউন্ট প্রযুক্তিতে আর্জি জানানো যাবে। যাঁরা এই ব্যবস্থায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দেবেন, তাঁদের জন্য রবিবার এবং সোমবারও নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের শাখা খোলা থাকবে। সোমবার রবীন্দ্র জয়ন্তীতে এমনিতে রাজ্যে ব্যাঙ্ক বন্ধ। এতে লগ্নিকারীর আবেদন করা শেয়ারের মোট দাম ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৃথক (ব্লক) করে রাখা হয়। শেয়ার মঞ্জুর হলে ওই টাকা কাটা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy