অরুণ জেটলি। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী ইস্তেহারে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্র দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাহুল গাঁধী। এ বার ওই বছর নাগাদ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার স্বপ্ন ফেরি করলেন অরুণ জেটলি।
শনিবার দিল্লিতে শ্রীরাম কলেজ অব কমার্সের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, অর্থনীতির মাপ অনুযায়ী ভারত এই মুহূর্তে কখনও পঞ্চম, কখনও ষষ্ঠ স্থানে। আয়তন প্রায় ২.৯ লক্ষ কোটি ডলার। ২০২৪ সালে তার মাপ দাঁড়াবে ৫ লক্ষ কোটি ডলার। ২০৩০-৩১ সালে তা দ্বিগুণ হয়ে পৌঁছে যাবে ১০ লক্ষ কোটি ডলারে। তখন দুনিয়ার প্রথম তিনে ঢুকে পড়বে ভারত।
অর্থনীতির মাপে আগামী দিনে দুনিয়ার প্রথম তিনে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনার দাবি এর আগেও করেছে মোদী সরকার। কিন্তু বিশেষজ্ঞ এবং বিরোধীদের প্রশ্ন, তার জন্য আগামী এক দশকে টানা বৃদ্ধির যে হার ধরে রাখতে হবে, তা সম্ভব হবে তো? গত পাঁচ বছরে বিশ্ব অর্থনীতির মোটের উপর সুসময়েও তো গড় বৃদ্ধির হারকে ৮ শতাংশের উপরে নিয়ে যেতে ব্যর্থ মোদী সরকার।
বিরোধীদেরও কটাক্ষ, এখনও তো চিনকে টেক্কা দিয়ে বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির দেশ হয়ে ওঠার জন্য প্রায়ই কৃতিত্ব দাবি করে মোদী সরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাতেও দেশে চাকরি বাড়ন্ত। যথেষ্ট সংখ্যায় নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হওয়া তো দূর, বরং বিরোধীদের অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে কাজ খুইয়েছেন অনেকে।
জেটলির অবশ্য দাবি, পরিকাঠামো, গ্রামোন্নয়ন, লিঙ্গবৈষম্য কমানো ইত্যাদির উপরে জোর দিলে ওই লক্ষ্যে ছোঁয়া অবশ্যই সম্ভব। শুধু তা-ই নয়। তাঁর মতে, ২০১১ সালে দেশের ২১.৯% মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে ছিলেন। বর্তমানে বৃদ্ধির যা হার, তাতে তা সম্ভবত ১৭ শতাংশের আশেপাশে। তাঁর দাবি, আগামী দিনে তা নেমে আসবে ১০ শতাংশের নীচে। আর ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র সীমার নীচে থাকা মানুষের চার গুণ হবে মধ্যবিত্তের সংখ্যা। এক বিরোধী নেতার কটাক্ষ, ‘‘ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত চওড়া হচ্ছে প্রতিশ্রুতি। আর ক্রমশ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা পূরণের সময়সীমা। পরিসংখ্যানের কারসাজি না করে এই লক্ষ্যে ছোঁয়া আদৌ সম্ভব হবে তো?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy