—ফাইল চিত্র।
বছর শেষে কিছুটা মুখ রক্ষা হল কেন্দ্রের। অর্থ মন্ত্রকের হিসাব জানাল, মার্চে জিএসটি আদায় হয়েছে ১.০৬ লক্ষ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত এই খাতে কোনও একটি মাসে যা সর্বোচ্চ। ১১.৭৭ লক্ষ কোটি ছুঁয়ে নজির গড়েছে গোটা অর্থবর্ষের সংগ্রহও। যা ছাপিয়ে গিয়েছে ১১.৪৭ লক্ষ কোটির লক্ষ্যমাত্রাকে। তার পরেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির টুইট, এর থেকে স্পষ্ট কল-কারখানায় উৎপাদন ও বাজারে কেনাকাটা বাড়ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই লক্ষ্যভেদ তো সংশোধিত পরিমাণের। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেটে প্রথম বার স্থির করা ১৩.৭১ লক্ষ কোটি সংগ্রহের নিশানা তো এখনও বহু দূর! তাদের প্রশ্ন, মার্চে কল-কারখানায় উৎপাদনের হিসেব এখনও হাতে আসেনি ঠিকই, কিন্তু সারা বছরে শিল্পোৎপাদনের পরিসংখ্যানে টানা বৃদ্ধি কোথায়?
বিরোধীদের বক্তব্য, এই সরকার কখনওই সরাসরি পরিসংখ্যান তুলে ধরে কৃতিত্ব দাবি করে না। সবটাই প্রমাণের চেষ্টা করে ঘুরিয়ে। যে কারণে এখন জিএসটি আদায়ের হিসেব দেখিয়ে কল-কারখানায় উৎপাদন বেড়েছে বলে প্রচার করছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁদের জিজ্ঞাসা, সেটাই যদি হবে, তা হলে জানুয়ারিতে উৎপাদন শিল্পের ঝিমিয়ে পড়ার ছবি ফুটে উঠল কেন? তা-ও আবার সরকারি হিসেবেই!
একাংশ এটাও বলছেন যে, কল-কারখানায় কর্মকাণ্ড বাড়লে, বৃদ্ধির চাকায় গতি আসার কথা। তার প্রতিফলন ঘটার কথা কর্মসংস্থানেও। তাদের দাবি, অথচ খোদ কেন্দ্রই গত অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছেঁটেছে। একের পর এক রিপোর্টে প্রকাশ পাচ্ছে কর্মসংস্থানের বেহাল দশাও।
সরকার অবশ্য বলছে, পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট তাদের উদ্দেশ্য সফল। অনেক বেশি ব্যবসায়ী কর জমা দিচ্ছেন। সম্প্রতি বেশ কিছু পণ্য-পরিষেবায় করের হার কমলেও, আয় বাড়ছে। যে কারণে ফেব্রুয়ারির রিটার্ন জমাও নজির গড়েছে।
শুরুতে প্রতি মাসে ১ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি আদায়ের কথা বলেছিল মোদী সরকার। কিন্তু সেই লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছয়নি তারা। ফলে এই ১ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের ধারা কতদিন বজায় থাকবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদেরা। বিশেষত ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে যেখানে ফের কর সংগ্রহের লক্ষ্য বাঁধা হয়েছে ১৩.৭১ লক্ষ কোটিতে। ইন্ডিয়া রেটিংসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ দেবেন্দ্র কুমার পন্থের যুক্তি, বছরের শেষার্ধে কর সংগ্রহের গতি যে ভাবে বেড়েছে, তা বজায় না থাকলে ওই লক্ষ্য ছোঁয়া কঠিন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy