তিন মাস পরে ঘুরে দাঁড়াল দেশের যাত্রী গাড়ির (প্যাসেঞ্জার কার) ব্যবসা। গত এপ্রিলে তা বাড়ল ১.৮৭%। ফলে গাড়ি শিল্পের হতাশা কিছুটা কাটলেও ব্যবসায় এখনও রুপোলি রেখা দেখছে না তারা।
সোমবার গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম জানিয়েছে, ২০১৫ সালের তুলনায় এ বছর এপ্রিলে যাত্রী গাড়ির বিক্রি ১.৮৭% বেড়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে এই বৃদ্ধির হার ছুঁয়ে ফেলেছিল প্রায় ১৩%। কিন্তু তারপর টানা তিন মাস বিক্রি কমে। সিয়ামের দাবি, এ বার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর কারণ এপ্রিলে বাজারে কিছু নতুন গাড়ির অভিষেক। মূলত এগুলির হাত ধরেই শিল্পের চাকায় আবার একটু গতি এসেছে। সিয়ামের ডিরেক্টর জেনারেল বিষ্ণু মাথুর বলেন, ‘‘যাত্রী গাড়ির কথা বললে, মূলত নতুন গাড়ি, যেমন মারুতি-সুজুকির ব্যালেনো, রেনোর ক্যুইড বাজারে আসাতেই বিক্রি বেড়েছে।’’
এ দিকে, শুধুমাত্র যাত্রী গাড়ি বা প্যাসেঞ্জার কার নয়, এপ্রিলে ১১% বিক্রি বেড়েছে প্যাসেঞ্জার ভেহিক্ল, অর্থাৎ সার্বিক ভাবে বিভিন্ন যাত্রী যানেরও। যার মধ্যে যাত্রী গাড়ি ছাড়াও ধরা হয় ইউটিলিটি ভেহিকল (ইউভি) বা বড় কেজো গাড়ি ও ভ্যান গাড়িকে।
ভারতের বাজারে এত দিন মূলত ছোট যাত্রী গাড়ির রমরমা ছিল। কিন্তু এখন ইউভি-র চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে। এতটাই যে এপ্রিলে এর বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৪৩%। সে ক্ষেত্রেও বিভিন্ন নতুন গাড়ির চাহিদার কথাই বলছেন মাথুর। তাঁর মতে, হুন্ডাই ক্রেটা, মারুতি ভিতারা-ব্রেজা, মহীন্দ্রা কেইউভি১০০-র মতো ইউভি-র বিক্রি বেশি হওয়াতেই যাত্রী যান ভাল ব্যবসা করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘পুরনো গাড়ি বদলে আর্থিক সুবিধা মিললে চাহিদা আরও বাড়বে।’’
এপ্রিলে ১৬.২৪% হারে বিক্রি বেড়েছে মোটোরসাইকেলেরও। ২০১৪ সালের পরে যা সর্বাধিক। সার্বিক ভাবে দু’চাকার গাড়ি বিক্রি বেড়েছে ২১%। বাণিজ্যিক গাড়ির ১৭.৩৬%।
তবে বিক্রিবাটা বাড়লেও সন্তুষ্ট নয় গাড়ি শিল্প। মাথুরের মতে, এখনও ২০১১-’১২ সালের মতো ব্যবসার জায়গায় পৌঁছতে পারেননি তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy