এখনও ঘাড় থেকে নামেনি অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা। আর্থিক সংস্থান বাড়িয়ে হিসেবের খাতা পরিষ্কারের কাজ চলায় মার খাচ্ছে অনেকেরই মুনাফা। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কগুলির সামনে রুপোলি রেখা বাড়তে থাকা ঋণের চাহিদা। শুক্রবার সিআইআইয়ের এক সভায় ব্যাঙ্ক কর্তাদের দাবি, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় বহু সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্পে পুঁজি ঢালছে। ফলে চলতি অর্থবর্ষের শুরু থেকেই বাড়ছে ঋণের চাহিদা। বেড়েছে খুচরো ঋণের আবেদনও। তবে একই সঙ্গে তাঁদের বার্তা, চাহিদা যতই বাড়ুক, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হয়েই পা ফেলবে ব্যাঙ্কগুলি।
এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কর্পোরেট ঋণ বিভাগের কর্তা রাহুল শুক্ল জানান, ‘‘সমীক্ষায় প্রকাশ গত দু’বছরে দেশের প্রথম সারির ৩০০টি সংস্থার মূলধনী খরচ ১০% কমেছিল। এই অর্থবর্ষে তা বেড়েছে ১৫ শতাংশের বেশি।’’ স্টেট ব্যাঙ্কের এমডি দীনেশ খেরার দাবি, ‘‘আমাদের ব্যাঙ্কে ঋণের চাহিদা বাড়ছে। সেপ্টেম্বরেই বেড়েছে ১০%।’’ আর ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার এমডি-সিইও দীনবন্ধু মহাপাত্র বলছেন, ‘‘ঋণের চাহিদা বাড়ছে। দেউলিয়া আইনে দ্রুত মিটছে অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা। ব্যাঙ্কের হাতে নগদ জোগান বাড়ানোর মতো রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশও ব্যবসা বাড়াতে সহায়ক। ভারতে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।’’
তবে বড় সংস্থা হোক বা ছোট-মাঝারি কিংবা সাধারণ মানুষ, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতায় জোর দিচ্ছেন সকলেই। খেরা জানান, ঋণের আর্জি খতিয়ে দেখতে স্টেট ব্যাঙ্ক ক্রেডিট রিভিউ ডিপার্টমেন্ট খুলেছে। সব ব্যাঙ্ক সমস্ত ক্ষেত্রে ঋণ দিতে গেলে সমস্যা হতে পারে, মত বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষের। আর সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের দাবি,
‘‘বিশ্বে ব্যাঙ্কিং শিল্পে বড় সঙ্কটগুলির অধিকাংশের মূলে আছে খুচরো ঋণ আদায়ের সমস্যা। তাই ঋণগ্রহীতার সাধ্য মেপে ধার দিতে হবে।’’ খেরার মতে, জিএসটিতে ছোট-মাঝারি সংস্থার আর্থিক হাল বিশদে জানা যায়।
তা যাচাইয়ে ঘাটতি থাকলে হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy