প্রতীকী ছবি।
কর্মসংস্থান যে তাদের পাখির চোখ, তা আগেই বলেছিল রাজ্য। এ বার কারিগরি শিক্ষায় জোর বাড়ানোর নির্দেশ দিল তারা। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী মঙ্গলবার এই বিষয়ে সব দফতর, জেলাশাসক এবং শিল্প প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শিল্প মহলের চাহিদা বুঝে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের বক্তব্য, বিগত কয়েক বছরে আনুমানিক পাঁচ লক্ষ যুবক-যুবতীকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি ছিল, প্রশিক্ষিতদের কাজের ব্যবস্থাও হবে। কিন্তু তুলনায় চাকরি হয়েছে নামমাত্র। কেন এই ঘাটতি, সেই প্রশ্নেই চর্চা শুরু হয় সরকারের অন্দরে। প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব এ বার এই কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নবান্ন সূত্রের দাবি, বৈঠকে শিল্পমহলকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা নিজেদের চাহিদার কথা জানাক। আর সেই অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দক্ষ কর্মী জোগান দেবে রাজ্য সরকার। সেই জন্য প্রায় প্রতিটি দফতরকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে-শিল্পের যেমন চাহিদা, সেই অনুযায়ী প্রশিক্ষণ হবে সংশ্লিষ্ট দফতরের তত্ত্বাবধানে। “ধরা যাক, কোনও শিল্প সংস্থা উইভিং সংক্রান্ত দক্ষ কর্মী চাইছে। সংশ্লিষ্ট দফতর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেই সংস্থার চাহিদা মেটাবে,” বলেন এক কর্তা।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিল্পমহলের কাছে কর্মী নিয়োগের চাহিদা কতটা হবে, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে আধিকারিকদের মধ্যেই। তাঁদের বক্তব্য, কোভিডের কারণে বহু শিল্পই এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিয়োগ বন্ধ রেখেছে অনেকেই। তবে আধিকারিকদের একটি অংশের মতে, দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা শিল্পমহলে বরাবরই রয়েছে। ফলে উন্নততর উৎপাদনের স্বার্থে সেই চাহিদা কমার সম্ভাবনা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এই প্রশিক্ষণ নিয়ে জেলাগুলিকেও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। জেলাভিত্তিক শিল্পগুলির দিকে নজর রেখে এই কারিগরি শিক্ষা-সহ কাজে জোর দিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy