জমির সমস্যার জন্যই রাজ্যে প্রস্তাবিত রং কারখানা তৈরি করতে পারছে না বার্জার পেন্টস। সংস্থার দাবি, পানাগড়ে জমি চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় ৩০ একর জমি তাদেরই কেনার কথা। কিন্তু টাকা নিয়ে বসে থাকলেও, মালিকানা সংক্রান্ত জটে তা হাতে আসছে না। ফলে কারখানার কাজ শুরু করতে পারছে না বার্জার।
সম্প্রতি সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভার শেষে বার্জারের এমডি অভিজিৎ রায় বলেন, “পছন্দ করা জমি মালিকানা সংক্রান্ত আইনি জটে আটকে থাকায় হাতে পাচ্ছি না। রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি। তারাও চেষ্টা করছে জট কাটাতে। নকশা-সহ কারখানার সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি। জমি পেলেই কাজ শুরু হবে। ২০২৬-এর ডিসেম্বরের মধ্যে কারখানাটি চালু করতে চাই। লগ্নি হবে ৬০০ কোটি টাকা। প্রায় ৩০০ মানুষ চাকরি পাবেন। মাসে তৈরি হবে শিল্পে ব্যবহৃত ৭০০০ টন রং।’’ তিনি আরও জানান, ব্যবসা বাড়াতে তিন বছরে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ঢালবে সংস্থা। যার অঙ্গ হিসেবে পানাগড় ছাড়া ওড়িশায় কারখানা গড়া হচ্ছে। তাতে লগ্নি প্রায় ১৩০০ কোটি।
অভিজিতের দাবি, দেশের স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত রং সংস্থাগুলির হাতে থাকা মোট বাজারের ২০ শতাংশই রয়েছে বার্জার পেন্টস-এর দখলে। ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম রং সংস্থাও তারা। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক আয় ২০,০০০ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া লক্ষ্য। গত অর্থবর্ষে সেই অঙ্ক ছিল ১১,৫০০ কোটি। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে বছর পাঁচেকের মধ্যে ডিলারের সংখ্যা দ্বিগুণ করে এক লক্ষে করারও পরিকল্পনা রয়েছে। চলতি বছরে নিযুক্ত হবে ১০,০০০ ডিলার। বেশির ভাগটাই হবে দক্ষিণ-ভারত, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)