Advertisement
E-Paper

ফের থমকে পাওয়ার গ্রিডের কাজ

সুভাষগ্রাম-জিরাট বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে ভাঙড় সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতেই। লক্ষ্য ছিল, বিহারের পূর্ণিয়া থেকে ওই সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ নিয়ে আসার বাকি পরিকাঠামোর কাজও শেষ করা হবে শীঘ্রই।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫৪

জমি ঘিরে জটিলতা এবং রাজনৈতিক তরজায় একটা সময়ে আটকে গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প। শেষে রাজ্যের মধ্যস্থতায় ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফের কাজ শুরু হয়। এ বার সেই কাজ আরও এক বার আটকে গেল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের আরিজুল্লাপুর গ্রামে। এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ক্ষতিপূরণ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাওয়ার গ্রিডের কর্তারা গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলেও এখনও সমাধানসূত্র মেলেনি।

সুভাষগ্রাম-জিরাট বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে ভাঙড় সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতেই। লক্ষ্য ছিল, বিহারের পূর্ণিয়া থেকে ওই সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ নিয়ে আসার বাকি পরিকাঠামোর কাজও শেষ করা হবে শীঘ্রই। দুই ২৪ পরগনা মিলিয়ে মোট ১০ কিলোমিটার দূরত্বে সাতটি টাওয়ার বসিয়ে হাইটেনশন লাইন টানার কাজ বাকি ছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নিয়ে এ বার আপত্তি তুলেছেন আরিজুল্লাপুর গ্রামের কিছু মানুষ। তার জেরেই থমকে গিয়েছে কাজ। বসানো যাচ্ছে না শেষ দু’টি স্তম্ভ। ফলে ফের প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে পাওয়ার গ্রিড কর্তাদের।

ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, দেশের বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী যে জমির উপর দিয়ে হাইটেনশন তার যায়, সেখানে শুধু কৃষিজাত ফসলের জন্য ক্ষতিপূরণ মেলে। জমি অধিগ্রহণ করার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সরকারি ভাবে নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের অঙ্ক মানতে রাজি নন বাসিন্দারা। আবার বিদ্যুতের স্তম্ভ বসানোর জন্যও জমির ক্ষতিপূরণ চাওয়া হচ্ছে অনেক বেশি। পাওয়ার গ্রিডের রাজ্যের কর্তারা অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ভাঙড়ের মতো ওই গ্রামেও মানুষদের বোঝানোর কাজ চলছে। যদিও মার্চের শেষে গ্রামবাসীদের সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছে, তাতে সমাধানসূত্র মেলেনি। সংস্থা সূত্রের দাবি, সময়ে কাজ শেষ হলে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে রাজ্যের বিদ্যুৎ দেওয়া-নেওয়ার ব্যবস্থাটি আরও শক্তিশালী হত।

পাওয়ার গ্রিড সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করছে। কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত জট কাটার সম্ভাবনা কম।

Bhangar Power Grid
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy