Advertisement
E-Paper

এটিএমে ভোগান্তি, প্রভাব বেশি রাজ্যে

বিভিন্ন সূত্রে খবর, ধর্মঘটের প্রভাব সব থেকে বেশি পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খন্ড ইত্যাদি রাজ্যে। এটিএম বন্ধ ছিল মূলত নিরাপত্তা রক্ষীদের ইউনিয়ন ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার কারণে। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৯
অনুরোধ: মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে কলকাতায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কার্যালয়েও। ধর্মঘটীদের দরজাটুকু ছেড়ে বসার আবেদন পুলিশের। বুধবার অবশ্য স্বাভাবিক কাজকর্ম হওয়ার কথা শীর্ষ ব্যাঙ্কে। নিজস্ব চিত্র

অনুরোধ: মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে কলকাতায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কার্যালয়েও। ধর্মঘটীদের দরজাটুকু ছেড়ে বসার আবেদন পুলিশের। বুধবার অবশ্য স্বাভাবিক কাজকর্ম হওয়ার কথা শীর্ষ ব্যাঙ্কে। নিজস্ব চিত্র

ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ। ঝাঁপ বন্ধ এটিএমের। ইউনিয়ন ধর্মঘটে শামিল না হওয়ায় দরজা খুলেছিল শুধু স্টেট ব্যাঙ্ক। মঙ্গলবার তাই হয়রান হতে হল গ্রাহকদের। বুধবারও এই ছবি সে ভাবে না বদলানোর সম্ভাবনা। বরং নোটের আকাল দেখা দিতে পারে ঝাঁপ খুলে রাখা এটিএম মেশিনেও।

বিভিন্ন সূত্রে খবর, ধর্মঘটের প্রভাব সব থেকে বেশি পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খন্ড ইত্যাদি রাজ্যে। এটিএম বন্ধ ছিল মূলত নিরাপত্তা রক্ষীদের ইউনিয়ন ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার কারণে।

দেশ জোড়া সাধারণ ধর্মঘটে শামিল হয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের দু’টি ইউনিয়ন। এআইবিইএ এবং বেফি। এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগর এবং বেফির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সারা দেশে ধর্মঘটের সমর্থনে কর্মীদের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে।’’

দিনভর হয়রানি

• স্টেট ব্যাঙ্ক ছাড়া বাকি প্রায় সমস্ত ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ। ঝাঁপ ওঠেনি বহু এটিএমেরও। ভুগেছেন গ্রাহকেরা।
• স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মীরা যে ইউনিয়নের সদস্য, তারা এই ধর্মঘটে শামিল না হওয়ার কারণেই দরজা খোলা ওই ব্যাঙ্কের।
• প্রায় সমস্ত ব্যাঙ্কের অধিকাংশ এটিএম অবশ্য খোলা যায়নি রক্ষীদের সংগঠন ধর্মঘটে শামিল থাকায়।
• কাজ হয়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দফতরগুলিতেও।
• প্রভাব বেশি পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, কেরল, তামিলনাড়ু, পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে।
• বুধবার মিলিয়ে ১৯ দিনে ব্যাঙ্ক চার দিন বন্ধ শুধু ধর্মঘটের জন্য। এতে গ্রাহকদের হয়রানির কথা মানছেন ইউনিয়ন নেতারাও।
• তবু আজও পরিস্থিতি একই থাকার সম্ভাবনা। বরং নোটের আকাল দেখা দিতে পারে ঝাঁপ খুলে রাখা এটিএমে।

এটিএমের রক্ষীদের ইউনিয়ন এআইবিইএ-র সঙ্গে রয়েছে। ফলে বহু এটিএমের ঝাঁপ এ দিন খোলেনি। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এটিএমে টাকা ভরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঝাঁপই যদি না খোলে, তা হলে গ্রাহকেরা অসুবিধায় পড়বেন।

ব্যাঙ্কের অফিসারদের সংগঠনের মতো স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মীরাও এই ধর্মঘটে যোগ দেননি। এই ব্যাঙ্কের কর্মীরা যে ইউনিয়নে রয়েছেন, সেই ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজের যুগ্ম সম্পাদক সিদ্ধার্থ খান বলেন, ‘‘আমরা ধর্মঘটে শামিল হইনি। তাই দেশ জুড়েই স্টেট ব্যাঙ্কে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে।’’

অল ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সম্পাদক সুদীপ্ত সাহা রায় বলেন, ‘‘শীর্ষ ব্যাঙ্কের দফতরগুলিতে এ দিন কাজ প্রায় হয়নি বললেই চলে।’’ শাখা খোলা নিয়ে ধর্মঘট বিরোধীদের সঙ্গে ধর্মঘটীদের সংঘর্ষের খবরও মিলেছে। রাজেনবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাদের ও বেফির ১২ জন সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন। কালনায় একটি শাখার কর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে এনে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে।’’

SBI Strike Bharat Bandh 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy