জ্বালানির উত্তাপ তীব্র হচ্ছে।
জ্বালানির উত্তাপ তীব্র হচ্ছে। সোমবার গোটা বিশ্বকে সন্ত্রস্ত করে ব্যারেল প্রতি ১৩৯ ডলারে ওঠে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম। যা ২০০৮ সালের পরে সর্বাধিক। পরে নেমে হয় ১২৪.৭৬ ডলার। আমেরিকায় নজির গড়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের গ্যালনও ছুঁয়েছে চার ডলার। সোমবারই এ দফার বিধানসভা ভোট পর্ব শেষ হয়েছে ভারতে। ফলে অশোধিত তেলের মাত্রাছাড়া দৌড় পেট্রল-ডিজ়েলের দামকে কোথায় ঠেলবে, সেই প্রশ্নে কার্যত আশঙ্কার প্রহর গুনছেন দেশবাসী।
যদিও আতঙ্ক শুধু জ্বালানিতেই থেমে থাকেনি। ডলারের সাপেক্ষে এ দিন কার্যত তলিয়ে গিয়েছে টাকার দামও। এই প্রথম এক ডলার ৭৭ টাকা ছুঁয়েছে। শেষে ৭৬ পয়সা বেড়ে ডলার ৭৬.৯৩ টাকায় বন্ধ হলেও, আমদানিকারীদের খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা বহাল। যা দুশ্চিন্তার বিষয় তেল সংস্থাগুলির জন্যেও। কারণ, দেশে প্রয়োজনীয় জ্বালানির ৮৫% বিদেশ থেকে কেনে তারা। আর যেহেতু তেল থেকে শুরু করে সমস্ত পণ্যের বাড়তি আমদানির খরচ পণ্যের দামে যোগ হয়ে শেষ পর্যন্ত ক্রেতার ঘাড়েই এসে পড়ার আশঙ্কা, তাই উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষও। দাম বাড়ার আগেই তা কেনার তাগিদে সোমবার বহু পাম্পে তেল কেনার লম্বা লাইন
পড়ে। কোথাও কোথাও সাধারণ পেট্রল শেষ হওয়ায় প্রিমিয়াম কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মূলধনী বাজার গবেষণা সংস্থা ভ্যালু রিসার্চের এমডি ধীরেন্দ্র কুমার এ দিন বলেন, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতে শেয়ার বিক্রি করে ডলার নিয়ে নিজেদের দেশে লগ্নি করছে। তা ছাড়া সুরক্ষিত লগ্নি হিসাবেও ডলারের কদর আছে। ফলে তার চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়ছে। আমদানি খরচ বাড়বে এতে।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ায় নানা আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপালেও এত দিন তাদের তেল রফতানিতে হাত দেয়নি। কিন্তু এ বার সেই ভাবনা চলছে বলে জানার পরেই এ দিন চোখের পলকে চড়ে অশোধিত তেল। ইন্ধন জোগায় সশস্ত্র জঙ্গী গোষ্ঠীদের লিবিয়ার দু’টি তেল ভান্ডার বন্ধ করার খবর। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, ভারতে লোকসানের পুরোটা হয়তো একসঙ্গে ক্রেতার ঘাড়ে চাপাবে না তেল সংস্থাগুলি। দিনে লিটার ৫০ পয়সা করে বাড়তে পারে। যার ফল ভেবে আতঙ্কিত গোটা দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy