প্রতীকী ছবি।
একেই বছর খানেক ধরে বিক্রি কমছে। তার উপরে ভাঁড়ারে পড়ে বিএস-৪ জ্বালানির একগাদা গাড়ি। বেচতে না-পারলে লোকসান আরও বাড়ার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে বিএস-৪ বন্ধ করে বাধ্যতামূলক ভাবে বিএস-৬ দূষণ বিধির গাড়ি বিক্রি শুরু করার সময়সীমা ১ এপ্রিল থেকে এক মাস বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল ডিলারদের সগংঠন ফাডা। শুক্রবার শীর্ষ আদালত সেই আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টেরই নির্দেশ ছিল ১ এপ্রিল থেকে দেশে বিএস-৬ মাপকাঠি মেনেই গাড়ি তৈরি ও বিক্রি করতে হবে সব সংস্থাকে। কিন্তু চাহিদার অভাবে এখন চালু বিএস-৪ মাপকাঠির গাড়ির একাংশ অবিক্রীত থেকে যাওয়ার আশঙ্কায়, সেই সব গাড়ি বিক্রির সময়সীমা বাড়াতে চাইছিল ফাডা। এ দিন তাদের আইনজীবী বলেন, অর্থনীতির ঝিমুনির কারণে বিক্রি না-হওয়া গাড়ির মজুত বাড়ার আশঙ্কা থেকেই এই আর্জি। কিন্তু বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি দীপক গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে জানায়, এক দিনও সময় বাড়ানো হবে না। কারণ, দেড় বছর আগে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পর সংস্থাগুলির আর বিএস ৪ গাড়ি তৈরি উচিত হয়নি। পরে ফাডার সিইও সহর্ষ দামানি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট বলেছে আগের নির্দেশই বহাল থাকবে। ডিলারদের বলেছি, সময়সীমার মধ্যে বিএস-৪ মাপকাঠির গাড়ি বিক্রিতে জোর দিতে।’’
পরিসংখ্যান বলছে, যাত্রী গাড়ির ক্ষেত্রে মজুত হালে কিছুটা হাল্কা হলেও, দু’চাকা ও বাণিজ্যিকের বিক্রি এতটাই কম যে পুরনো গাড়ি জমে উঠেছে অনেক বেশি। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় পাইকারি গাড়ি বিক্রিতে রাশ টানতে নির্মাতা সংস্থাগুলির কাছে আর্জি জানাবেন ডিলারেরা। তাতে শো-রুমে অবিক্রীত গাড়ির সংখ্যা কমবে। অনেকের আশঙ্কা, এত কম সময়ে চাহিদা বাড়বে কি না, তা অনিশ্চিত। তাই মজুত ভাণ্ডার বাড়লে খেসারত দিতে হবে ডিলারদেরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy