বড় অঙ্কের লেনদেনে ছাড়পত্র পেল বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি (বিএসকে)। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এ বার থেকে ১ কোটি টাকার উপরের লেনদেনগুলিও চালাতে পারবে তারা। এত দিন তার থেকে কম অঙ্কের লেনদেনই চলত বিএসকেগুলির মাধ্যমে। আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, বিভিন্ন পুরসভা বা অন্যান্য জায়গায় দালাল এড়িয়েই বিএসকেগুলির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারবেন নাগরিকেরা। এমনকি, যে সমস্ত শিল্প সংস্থা সরকারের সঙ্গে বড় অঙ্কের লেনদেন করে থাকে, তারাও এই মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে।
প্রশাসনের অন্দরের খবর, অর্থ দফতরের আর্থিক লেনদেনে আইএফএমএস পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বিএসকেগুলিকে। ফলে সেখানে বড় অঙ্কের লেনদেন হলে তা ওই মাধ্যমে ট্রেজ়ারি বা ব্যাঙ্কে পৌঁছে যাবে। নবান্ন জানাচ্ছে, জমির খাজনা দেওয়া বা তার আবেদনপত্র জমা করা, মিউটেশন-কনভারশন, ভূমি রাজস্বের উপর সারচার্জ, ভূমি রাজস্ব, লিজ় বাবদ অর্থ, খনিজের রয়্যালটি, স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন, বিদ্যুতের বিল জমা করা ইত্যাদি বড় অঙ্কের লেনদেন হিসেবে ধরা হয়।
সাধারণ মানুষ যেমন এই লেনদেন করে থাকেন, তেমনই বিভিন্ন শিল্প সংস্থারও তা দরকার পড়ে। আধিকারিকদের অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, রাজ্য সরকার এখন লিজ়ে থাকা জমিগুলিতে নির্দিষ্ট অঙ্কের বিনিময়ে মালিকানা দেওয়ার নীতি চালু করেছে। লক্ষ্য মূলত বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। তারা এই নীতির সুবিধা নিয়ে সরকারকে জমির দাম মেটালে লিজ়ের বদলে মালিকানা পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিএসকেগুলিকে কাজে লাগিয়ে সরকারি দফতরে না গিয়েও এই টাকা মেটাতে পারবে তারা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)