আর্থিক সঙ্কটে এখনও ফেব্রুয়ারির বেতন পাননি বিএসএনএলের অধিকাংশ কর্মী-অফিসারেরা। ব্যাহত হচ্ছে সংস্থা পরিচালনাও। ভোটের আগে এ নিয়ে কর্মী মহলে তীব্র ক্ষোভের মুখে মঙ্গলবার দিল্লিতে জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির পরিচালন পর্ষদের বৈঠক বসে। সংস্থা সূত্রের দাবি, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে বিএসএনএলের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন পর্ষদে কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা।
টেলিকম পরিষেবায় দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমটিএনএল ও বিএসএনএল বেশ কিছু দিন আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। অল ইউনিয়ন্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন অব বিএসএনএলের (এইউএবি) দাবি, কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও সায় দেয়নি টেলিকম দফতর (ডট)। টেলিকম মন্ত্রী মনোজ সিন্হাকেও ঋণের আর্জি জানিয়ে চিঠি দেয় এইউএবি।
সংস্থা সূত্রের খবর, বিএসএনএলের সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব ও অন্য সদস্যদের পাশাপাশি এ দিনের বৈঠকে ডটের এক যুগ্ম সচিব ও অর্থ বিভাগের এক ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল উপস্থিত ছিলেন। দিল্লি থেকে সংস্থার এক কর্তা জানান, ডটের তরফে ব্যাঙ্ক-ঋণ নেওয়ায় সায় মিলেছে। কতটা ঋণ নেওয়া হবে তাও স্থির হয়েছে। শীঘ্রই বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কাছে ঋণের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে। তাঁদের আশা, আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তবে বকেয়া বেতন ঋণ পাওয়ার আগে না পরে, কবে মিলবে তা এ দিন স্পষ্ট হয়নি। ভোটের পরেও কেন্দ্র পাশে থাকবে তো, প্রশ্ন রয়েছে কর্মী মহলে।
এইউএবির দাবি, টেলিকম ক্ষেত্রে বিএসএনএলের ঋণই সবচেয়ে কম হলেও নতুন ঋণ নিতে সায় দিচ্ছিল না ডট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy