—প্রতীকী চিত্র।
প্রতিদ্বন্দ্বীরা যখন ৪জি পেরিয়ে ৫জি প্রযুক্তির পরিষেবা দিচ্ছে, তখন রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের গ্রাহকদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে শুধু ২জি এবং ৩জি নিয়ে। প্রায় দেড় বছর ধরে কেন্দ্র ৪জি চালুর আশ্বাস দিলেও, তা হয়নি। আর এর জেরেই বিপুল সংখ্যক গ্রাহক সংস্থার সংযোগ ছেড়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি দিল কর্মীদের সংগঠন বিএসএনএল এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন (বিএসএনএলইইউ)। তাতে দ্রুত ওই পরিষেবা চালুর জন্য তাঁর হস্তক্ষেপের আর্জিও জানানো হয়েছে। তবে সংস্থা সূত্রের দাবি, পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় পরীক্ষামূলক ৪জি পরিষেবা চলছে। এ মাসের শেষে বা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সেখানে বাণিজ্যিক ভাবে তা চালু হতে পারে।
ইউনিয়নটির সতর্কবার্তা, দেশ জুড়ে গ্রাহক হারানো অবিলম্বে ঠেকাত না পারলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএসএনএল। ৪জি বা ৫জি পরিষেবা চালু করেও শেষে লাভ হবে না।
বিএসএনএলইইউ-এর সাধারণ সম্পাদক পি অভিমন্যু চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, গত অগস্টে ২২.২০ লক্ষেরও বেশি গ্রাহক বিএসএনএলের সংযোগ ছেড়েছেন। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে ছাড়ায় ২৩ হাজার। ২০২২-এও ৭৭ লক্ষ গ্রাহক সরে গিয়েছেন অন্যত্র। তাঁর অভিযোগ, চার বছর আগে কেন্দ্র বিএসএনএলকে ৪জি স্পেকট্রাম বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিলেও, এখনও দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা আনা যায়নি সেখানে। রিলায়্যান্স জিয়ো এবং এয়ারটেল ৫জি চালু করলেও, তাদের হাতে শুধু ২জি-৩জি। বেসরকারি সংস্থাগুলি বিদেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৪জি দিচ্ছে। কিন্তু বিএসএনএলকে সেই অনুমতি না দেওয়ায় দেশীয় প্রযুক্তিতে পরিষেবা আনতে গিয়ে তা আরও পিছিয়ে গিয়েছে। টেলিকম মন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও গ্রাহক উন্নত সংযোগ পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy