প্রতীকী ছবি।
ঠিকা কাজে বরাতের খরচ ৫০% কমলে ঠিকা কর্মীদের বেতন হবে। পুজোর মুখে এই বার্তা বিএসএনএলের। তাঁদের জন্য, যাঁরা ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে বেতন না পেয়ে দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির সদর দফতর ইতিমধ্যেই সমস্ত সার্কলে ওই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে।
রাজ্যে বিএসএনএলের দুই শাখা, ক্যালকাটা (ক্যাল-টেল) ও ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে যথাক্রমে প্রায় ৫,০০০ ও ২,০০০ জন ঠিকা কর্মী। ক্যাল-টেল সূত্রে খবর, এত দিন পরে মঙ্গলবার তাঁদের মাত্র এক মাসের বেতন মেটানোর নির্দেশ এসেছে। তবে সূত্র বলছে, পরের দফায় ফের তা মিলবে শর্ত মেনে বরাতের ৫০% খরচ সাশ্রয় করলে। এর আগে বিএসএনএলের স্থায়ী কর্মীরাও তিন মাস দেরিতে বেতন পেয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত বিএসএনএল কন্ট্র্যাকচুয়াল লেবার ইউনিয়নের সহকারী সার্কল সম্পাদক শেখ সাহাবুদ্দিনের দাবি, ‘‘আমরা ওই নির্দেশ মানছি না।’’
পাঁচ শর্ত
• ঠিকা কর্মীর বয়স ৫৫ বছরের কম হতে হবে।
• ঠিকা কাজে কাউকে মাসে ১৫ দিনের বেশি বহাল নয়।
• কাজের দিনে তিন ঘণ্টার বেশি ঝাড়ু দেওয়া-সহ পরিষ্কারের কাজ নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে (জিইএম) এ ধরনের কাজে ধার্য মজুরি মেনেই টাকা।
• নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে সেই দায়িত্ব বিএসএনএল কর্মীদের দেওয়া।
• কাজে না এলে বেতন নয়।
ফোনের নতুন লাইন দেওয়া থেকে অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল, লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, অফিসে দিন-রাতের নিরাপত্তা রক্ষা, ডেটা এন্ট্রি, বিল বণ্টনের মতো কাজ করেন ঠিকা কর্মীরা। এর মধ্যেই তাঁদের একাংশের বিরুদ্ধে কাজ বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। শুধু কলকাতায় প্রায় ৩০ হাজার ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ খারাপ হয়ে পড়ে থাকলেও সারাতে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে ক্যাল-টেলের এক কর্তার দাবি, স্থায়ী কর্মীদের দ্রুত ফোন লাইন মেরামতি ও নতুন সংযোগ দেওয়ার মতো কাজ রূপায়ণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy