বেতন না পাওয়া ঠিকা ও স্থায়ী কর্মীদের একাংশের বিরোধিতায় সোমবার বিএসএনএলের কলকাতা শাখার তিন কেন্দ্রে (বালিগঞ্জ, গড়িয়া ও যাদবপুর) কর্মী ইউনিয়নের ভোট ব্যাহত হয়। ক্যালকাটা টেলিফোন্সের রিটার্নিং অফিসার এল কে বৈদ্য বলেন, আজ ফের কেন্দ্রগুলির ভোট হবে।
এ দিন সারা দেশেই ওই ভোট হয়। কলকাতায় প্রায় ৭৬% ভোট পড়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। তবে নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত ইউনিয়নের সদস্য দাবি করে বালিগঞ্জের দফতরে শেখ সাহাবুদ্দিন ও সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ভোটে অংশ নিয়ে লাভ নেই। এই টাকা বেতনে খরচ করা যেত।’’
বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট অনিমেষ মিত্রের দাবি, আইনি পথে কর্মীদের দাবি আদায়ের জন্যই ভোটে অংশ নেওয়া জরুরি। ক’মাস আগে স্বীকৃত ইউনিয়নের মেয়াদ শেষ হওয়ার সুযোগে একতরফা ভাবে কর্তৃপক্ষ ঠিকাকর্মী ছাঁটাই ও স্থায়ী কর্মীদের অবসরের বয়স কমানোর প্রস্তাব দেন।
টেলিকম এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন-বিএসএনএলের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ দত্তের দাবি, তাঁরা ভোট পিছোনোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট হলে তাতে অংশ না নিলে কর্মী আন্দোলনেরই ক্ষতি বলে তাঁরও দাবি।