ব্যবসার ঐতিহ্যের নিরিখে সামনের সারিতে জায়গা কলকাতার। অনেক ব্যবসার সূত্রপাতও এই শহরে। কিন্তু তার সংরক্ষণ কার্যত উপেক্ষিতই থেকে গিয়েছে। অথচ ইতিহাস ভাল ভাবে তুলে ধরতে পারলে, নতুন প্রজন্মের কাছে তা হতে পারত ব্যবসার উল্লেখযোগ্য দলিল। শনিবার এই আক্ষেপই স্পষ্ট হল বণিকসভা আইসিসি-র সভায়।
ওই সভায় হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক জিওফ্রে জোনস স্পষ্টই বলেন, ব্যবসা করলেও ইতিহাস জানা জরুরি। কোনও উদ্যোগ কখন কেন সফল বা ব্যর্থ হয়েছিল, তার আভাস মেলে অতীতের গর্ভে। আর সেটাই মস্ত বড় শিক্ষা। এমনকী এগোনোর জন্য যেমন ঐতিহ্যের প্রেক্ষিত জরুরি, তেমনই ঐতিহ্যের কদর করলে এগিয়ে যাওয়া সহজ হয় বলেও মনে করেন বণিকসভাটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রুদ্র চট্টোপাধ্যায়। যে কারণে তাঁর মতে, ব্যবসার পরিবেশ যত উন্নত হয়, তত সংরক্ষণের গুরুত্ব বাড়ে।
আর আইসিসির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রূপেন রায়ের দাবি, ভবিষ্যতের ইতিহাস গড়ার জন্য অতীতের ব্যবসা-বাণিজ্যের ছবিটার সঙ্গে পরিচিত না-থাকলেই নয়। কারণ, গয়না তৈরির মতো কলকাতার ঐতিহ্যশালী শিল্পকেও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উত্তরণের পথে নিয়ে যাওয়ার চাবিকাঠি সেটা। তবে কর্পোরেট অ্যান্ড ইকনমিক রিসার্চ গ্রুপের চেয়ারপার্সন ওমকার গোস্বামীর অভিযোগ, শুধু কলকাতা নয়, সংরক্ষণ নিয়ে উদাস সারা দেশই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy