আমেরিকার শুল্কের প্রভাব কোন কোন শিল্প ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে সে ব্যাপারে সরকারের ধারণা আছে এবং তার ভিত্তিতে তারা সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রের আর্থিক বিষয়ক সচিব অনুরাধা ঠাকুর।
আজ এক সাক্ষাৎকারে অনুরাধা বলেন, ‘‘এমন কিছু ক্ষেত্র আছে যারা আমেরিকা নির্ভর। সেগুলিতে কর্মসংস্থানও অনেক। তাদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সরকার সেটা জানে। তারা সম্ভাব্য সেই বিরূপ প্রভাব মাপার চেষ্টা করছে। তার উপরে ভিত্তি করে খোঁজার চেষ্টা করছে সমাধানসূত্র।’’ সচিব জানান, ইতিমধ্যেই সরকার এমন কিছু পদক্ষেপ করেছে যা দেশের বাজারে পণ্যের চাহিদা বাড়িয়ে রফতানির ধাক্কাকে কমাতে সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে আগামী দিনে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর ব্যাখ্যা—
- নতুন আয়কর কাঠামোয় বছরে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও কর দিতে হয় না বেতনভুক মধ্যবিত্তকে। ফলে তাঁদের হাতে উদ্বৃত্ত অর্থ থাকছে।
- জিএসটি কাঠামোয় সংস্কার আসতে চলেছে। তা-ও বাজারে চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে।
- এ বছর বর্ষা ভাল হয়েছে। তার ফলে কৃষি উৎপাদন ভাল হবে। চাঙ্গা হবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
এই প্রসঙ্গে গাড়ি শিল্পের বক্তব্য, জিএসটি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক দ্রুত। তাতে সামগ্রিক ভাবে গাড়ি শিল্প চাঙ্গা তো হবেই, চাহিদা বাড়বে বিলাসবহুল গাড়িরও। বিএমডব্লিউ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট হরদীপ সিংহ ব্রারের বক্তব্য, উৎসবের মরসুমে গাড়ির চাহিদা বাড়ে। এ বছর সেই চাহিদাও আছে। কিন্তু জিএসটি কাঠামোয় কী বদল আসে, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা আপাতত সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন। নতুন গাড়ি বিক্রিতে তার প্রভাব পড়ছে। অডি ইন্ডিয়ার প্রধান বলবীর সিংহ ধিলোঁ বলেন, ‘‘সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জিএসটি-র বিষয়টি স্পষ্ট হলে ক্রেতাদের আস্থা বাড়বে।’’ উল্লেখ্য, শিল্প মহলের প্রত্যাশা, জিএসটি কাঠামোয় সংস্কারের পরে গাড়ির কর ২৮% থেকে ১৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে তার দাম কমবে অনেকটা। যা এই ক্ষেত্রের চাহিদাকে চাঙ্গা করবে। গাড়ি শিল্পের উপরে অর্থনীতির গতি অনেকটাই নির্ভরশীল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)