কোথাও বাড়ি ভাড়া, কোথায় গৃহ ঋণের কিস্তি, কোথাও বা আবার স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম— যে যে খাতে আয়করে সাশ্রয় পাওয়া সম্ভব, তার প্রায় প্রতিটিকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে ভুয়ো কর ফেরতের দাবি জানানো হচ্ছে রিটার্নে। বিভিন্ন সূত্র এবং উচ্চপ্রযুক্তির কৃত্রিম মেধাকে (অ্যাডভান্সড এআই) কাজে লাগিয়ে এমনই বহু আয়কর প্রতারণার খোঁজ পেয়েছে আয়কর দফতর। সোমবার কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই ধরনের নানা রকম খবরের উপরে ভিত্তি করে বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ১৫০টি জায়গায় অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ব্যক্তি এবং সংস্থা দুই-ই রয়েছে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাত, পঞ্জাব এবং মধ্যপ্রদেশে একই ধরনের অভিযান চালিয়েছিল আয়কর দফতর। সিবিডিটি জানিয়েছে, সেখানেও দেখা গিয়েছে সাধারণ করদাতাকে উঁচু অঙ্কের কর ফেরতের প্রলোভন দেখিয়ে আয়কর প্রতারণার চক্র ফেঁদে বসেছে রিটার্ন দাখিলে সাহায্য করার বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তি বা সংস্থা। গোটাটাই চলছে চক্রের মাধ্যমে। বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতা, রাজনৈতিক দলকে চাঁদা, গৃহ ও শিক্ষা ঋণের সুদ, স্বাস্থ্য বিমা, বৈদ্যুতিক গাড়ির ছাড়, দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দানের মতো যে সমস্ত খাতে আয়করে ছাড় মেলা সম্ভব, কোনওটি বাদ রাখেনি এই চক্রগুলি। এমনকি, ব্যবহার করেছে উৎসে কাটা করের (টিডিএস) শংসাপত্র।
সিবিডিটি জানিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, বহুজাতিক সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে এই ধরনের অপরাধ সংগঠিত করতে। নীতি নির্ধারক সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ধরনের প্রবণতা এবং প্রতারণার আশঙ্কায় অনেক দিন ধরেই সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে তারা। পাঠানো হচ্ছে ই-মেল, এসএমএস। বহু মানুষ সংশোধিত রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)