Advertisement
E-Paper

জিএসটি নিয়ে এখনই কড়া হবে না কেন্দ্র

এই ক্ষোভ প্রশমিত করতে পশ্চিমবঙ্গের মতো কয়েকটি রাজ্যের আপত্তি মেনে নিয়েই অর্থ মন্ত্রক সূত্রের যুক্তি, প্রথম দিকে অসুবিধা হতে পারে। তাই ১ জুলাই থেকে ২০১৮-র ১ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমাকে নতুন ব্যবস্থা চালুর জন্য অন্তর্বর্তী সময় বা ‘ট্রানজিশন পিরিয়ড’ হিসেবেই ধরা হবে। কিছু কিছু রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এই সময়ে জিএসটি বিধি প্রয়োগে নরম মনোভাব নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ০৩:১৯

মূলত পশ্চিমবঙ্গের আপত্তিতে সাড়া দিয়ে জিএসটি চালুর প্রথম কয়েক মাসে নরম মনোভাব নেওয়ার ইঙ্গিত দিল অর্থ মন্ত্রক।

জিএসটি চালুর জন্য ছোট-মাঝারি শিল্পের প্রস্তুতি এখনও যথেষ্ট নয় বলেই ১ জুলাই থেকে নতুন কর ব্যবস্থা চালু করা নিয়ে আপত্তি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের মত, সে ক্ষেত্রে ছোট ব্যবসায়ীরা অসুবিধায় পড়বেন। কংগ্রেসও ছোট ব্যবসায়ীদের ক্ষোভকে উসকে দিতে চাইছে।

এই ক্ষোভ প্রশমিত করতে পশ্চিমবঙ্গের মতো কয়েকটি রাজ্যের আপত্তি মেনে নিয়েই অর্থ মন্ত্রক সূত্রের যুক্তি, প্রথম দিকে অসুবিধা হতে পারে। তাই ১ জুলাই থেকে ২০১৮-র ১ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমাকে নতুন ব্যবস্থা চালুর জন্য অন্তর্বর্তী সময় বা ‘ট্রানজিশন পিরিয়ড’ হিসেবেই ধরা হবে। কিছু কিছু রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এই সময়ে জিএসটি বিধি প্রয়োগে নরম মনোভাব নেওয়ার দাবি তুলেছেন। তা অনুযায়ী, এই সময়ে কোনও ব্যবসায়ী কর জমা দিতে গিয়ে ভুল করলেও তা মাপ করে দেওয়া হবে। প্রথমেই তা কর ফাঁকির চেষ্টা বলে ধরা হবে না। অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব দফতরের তরফে কেন্দ্র ও রাজ্যের কর অফিসারদের এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা প্রথম কয়েক মাস ছাড় দেন।

২০১৭-র ১ জুলাই থেকে ২০১৮-র ১ মার্চ পর্যন্ত

অন্তর্বর্তী সময় ধরা হবে

কোনও কারণে কর দিতে ভুল হলে তা প্রথমেই

গণ্য হবে না ফাঁকি হিসেবে

কিন্তু ১ জুলাই থেকেই জিএসটি চালু করতে কেন্দ্র যে-বদ্ধপরিকর, আজ তা ফের জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নিজেও ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু নিয়ে সাহায্য করার জন্য সব রাজনৈতিক দলকে আগাম ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে এ নিয়ে আপত্তি এখনও খাতায়-কলমে বজায় রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তা উপেক্ষা করেই তৃণমূল থেকে শুরু করে সব দলের প্রধানদেরই চিঠি লিখেছেন জেটলি। দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকদের বলেছেন, তাঁদের সক্রিয় সহযোগিতাতেই সংবিধান সংশোধন সম্ভব হয়েছে। জিএসটি সংক্রান্ত ৩টি আইনও পাশ হয়েছে। ২৫টি রাজ্যের বিধানসভাও এই সংক্রান্ত বিল পাশ করেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্য-জিএসটি বিল পাশ হয়নি।

গত শনিবারই জিএসটি পরিষদের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র সকলের সামনে তাঁদের আপত্তির কথা তুলে ধরেছিলেন। রবিবার ফের পরিষদের বৈঠক বসবে। তার আগে সুকৌশলে রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পরিষদের সকলের ইতিবাচক ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন জেটলি। জানিয়েছেন, গত ৮ মাসে ১৫ বারের বৈঠকে এই পরিষদ জিএসটি সংক্রান্ত সব আইনের খসড়া বিধি ও করের হারে সিলমোহর দিয়েছে। এ বার জিএসটি-সচেতনতা বাড়াতে সব দলের সাংসদ-বিধায়কদেরও সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। তাঁর যুক্তি, সাধারণ মানুষেরও এ নিয়ে খুঁটিনাটি জানা প্রয়োজন।

GST Bill Government India ভারত
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy