পথদুর্ঘটনা এবং জীবনহানি ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের। এ বার তারা জানাল, জাতীয় সড়কের একই জায়গায় বছরে একাধিক দুর্ঘটনা হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে দায়বদ্ধ করা হবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সারা দেশে জাতীয় সড়কে ৩৫০০টি দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়গা চিহ্নিত করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, দেশের যে কোনও রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনায় কেউ জখম হলে তিনি যাতে নগদহীন (ক্যাশলেস) চিকিৎসার সুবিধা পেতে পারেন, তার জন্য বিমা প্রকল্প আনতে চলেছে সরকার। তাদের ব্যাখ্যা, দুর্ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায় না। তাতে বিপদ আরও বাড়ে। তা ঠেকানোই সরকারের উদ্দেশ্য।
বেসরকারি ঠিকাদারদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের চুক্তিতে জাতীয় সড়ক নির্মাণ করে কেন্দ্র। তার মধ্যে এখন সবচেয়ে চালু পদ্ধতি ‘বিল্ট, অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার’ (বিওটি)। অর্থাৎ, দরপত্রের মাধ্যমে বরাত পাওয়া সংস্থা রাস্তা নির্মাণ করবে। একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে তার রক্ষণাবেক্ষণ করবে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে টোল ট্যাক্স সংগ্রহ করে খরচ তুলবে। মেয়াদ শেষে সড়কের দায়িত্ব তুলে দেবে সরকারের হাতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ হয় ১৫-২০ বছর। আজ সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক সচিব ভি উমাশঙ্কর জানিয়েছেন, এই চুক্তির ক্ষেত্রে বিধি সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্র। জাতীয় সড়কে যাতে দুর্ঘটনা না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে ঠিকাদার সংস্থাকে। সচিব বলেন, ‘‘এক বছরে নির্দিষ্ট একটি জায়গায়, ধরা যাক ৫০০ মিটার, একাধিক দুর্ঘটনা ঘটলে ঠিকাদার সংস্থাকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। পরের বছর একই জায়গায় ফের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জরিমানা বেড়ে হবে ৫০ লক্ষ।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)