প্রকল্প চালুর পরে প্রায় সাড়ে ছ’বছর পেরিয়েছে। তবু দেশে স্মার্ট মিটার বসানোর যে লক্ষ্য স্থির করেছিল মোদী সরকার, তার ৫ শতাংশও পূরণ হয়নি। সোমবার সংসদে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েকের লিখিত উত্তরে উঠে এল এই তথ্য। তবে পশ্চিমবঙ্গ তালিকায় খানিকটা উপরের দিকে। কলকাতা-সহ রাজ্যের সিংহভাগ সরকারি দফতর, কল্যাণী, বারাসত, মধ্যমগ্রাম, নিউটাউন সমেত বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বসানো হয়েছে সেগুলি। যদিও স্মার্ট মিটার নিয়ে গ্রাহকদের একাংশের মধ্যে তীব্র আপত্তি উঠেছে। এতে বিদ্যুতের বিল বেশি আসা-সহ নানা অভিযোগে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। কিছু জায়গায় বিক্ষোভও দেখানো হয়েছে। ফলে আপাতত এ ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতি নেওয়া হয়েছে বলেই প্রশাসনিক সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, স্মার্ট মিটার কাজ করে প্রিপেড মিটার হিসেবে। অর্থাৎ, যত টাকার রিচার্জ করা হয়, সেই অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ পান গ্রাহক। তবে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়, অভিযোগ গ্রাহকদের একাংশের। অনেকের দাবি, বেশি খরচ শুনেই তাঁরা তা বসাতে চান না।
সাংসদ জানান, ২০১৮-র অক্টোবর থেকে ২০২৬-এর ৩১ মার্চের মধ্যে দেশে ২০.৩৩ কোটি স্মার্ট মিটার বসানোর লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রের। ২০২৫-এর ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ৯৯.৫১ লক্ষ বসেছেন, লক্ষ্যের ৪.৯%। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একটিও বসেনি।। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি, কেরল, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, মিজোরাম, গোয়া, আন্দামানের মতো জায়গা। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য জানুয়ারির শুরুর দিক পর্যন্ত প্রায় ১.৬৫ লক্ষের কিছু বেশি স্মার্ট মিটার বসে গিয়েছে। তবে তা দ্রুত বাড়ানো যাচ্ছে না গ্রাহকদের একাংশের অসন্তোষের কারণেই, দাবি রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রের।
নায়েক-ও সমস্যার কথা মেনে বলেন, ‘‘এটি নতুন বিষয়। ফলে গ্রাহকদের বোঝাতে হচ্ছে। তথ্য যাচাই-সহ নানা কাজে বেশি সময় লাগছে বলেও গতি শ্লথ।’’ বিদ্যুতের বিলকে পোস্ট পেড থেকে প্রি-পেডে পরিবর্তনে প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)