লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনটি সেমিকনডাক্টর কারখানার প্রস্তাবিত প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছিল মোদী সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুজরাতের সানন্দে আরও একটি সেমিকনডাক্টর কারখানার প্রকল্পে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। সেটি তৈরি করছে কেন্স সেমিকন। বৈঠকের শেষে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে সানন্দে জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করেছে সংস্থাটি। কারখানা তৈরির কাজ দ্রুত শুরু হবে। দিনে ৬৩ লক্ষ চিপ তৈরি হবে সেখানে। বিনিয়োগের অঙ্ক ৩৩০৭ কোটি টাকা।
বৈষ্ণব জানান, সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির উপরে ভিত্তি করে ভারতে সেমিকনডাক্টর ক্ষেত্রের পুরোদস্তুর পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চায় কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভা কেন্সের প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছে। ৪৬ একর জমিতে সেটি তৈরি হবে। বড় কারখানা। সেখানে উৎপাদিত চিপের বড় অংশ কেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের কাজে লাগবে। সেই বরাত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ, গাড়ি, টেলিকম, মোবাইল ফোন এবং বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রেও সেই চিপ কাজে লাগবে।’’
ভারতকে সেমিকনডাক্টর এবং ডিসপ্লে উৎপাদনের তালুক হিসেবে গড়ে তুলতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। এই খাতে বরাদ্দ করে ৭৬,০০০ কোটি টাকা। গত বছরের জুনে গুজরাতের সানন্দে প্রথম কারখানাটির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে আরও তিনটি প্রস্তাব সম্মতি পায়। গুজরাতের ধোলেরা এবং অসমের মোরিগাঁওয়ে দু’টি কারখানা তৈরি করছে টাটা গোষ্ঠীর সংস্থা টাটা ইলক্ট্রনিক্স। তৃতীয়টিও সানন্দে। এ দিন কেন্দ্রের দাবি, চারটি প্রকল্পের কাজই দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। উৎপাদন শুরু হলে কারখানাগুলিতে দিনে মোট সাত কোটি চিপ তৈরি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে তাইওয়ান এবং চিন নির্ভরতা কমবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)