—প্রতীকী চিত্র।
অশোধিত তেলের দাম কমছে। শুক্রবার তা নেমেছে ব্যারেল পিছু ৭০.৯০ ডলারে। দেশে তেলের আমদানি খরচ কমার এই সুবিধা পেট্রল-ডিজ়েলের দাম ছেঁটে আমজনতার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে কি না, সেই চর্চা তাই তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর, দাম কমানো নিয়ে তৎপর নয়াদিল্লিও। জোর আলোচনা চলছে আন্তঃমন্ত্রক স্তরে। লোকসভা ভোটের আগে পেট্রল-ডিজ়েলের লিটার মাত্র ২ টাকা কমিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। যা খুশি করেনি সাধারণ মানুষকে। শোনা যাচ্ছে, এ বার দাম কমতে পারে বেশি। বিশেষত সামনেই যেহেতু হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের ভোট। বছর শেষে ভোটে যাবে মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং তার পরে ঝাড়খণ্ডে।
বিরোধী শিবির-সহ সব পক্ষেরই অভিযোগ, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়লে দেশে দ্রুত তা চড়ে। কিন্তু উল্টোটা হলে তার প্রতিফলন সে ভাবে পড়ে না। একমাত্র ভোট থাকলে দাম কমানোর চেষ্টা হয়। তা-ও গত বার মাত্র ২ টাকা সুবিধা দিয়ে ভোটবাক্সে ফায়দা তোলার চেষ্টা হয়েছিল, যা তেমন কাজে লাগেনি। সূত্র জানাচ্ছে, এ বার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, কী ভাবে অশোধিত তেল সস্তা হয়েছে বিশ্ব বাজারে। তাকে কাজে লাগিয়ে দেশের ক্রেতাদের কী ভাবে সুবিধা দেওয়া যায়। একই সঙ্গে কোন পথে ঠিক রাখা যায় রাজস্ব আয় এবং তেল সংস্থাগুলির মুনাফাও।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি প্রসেনজিৎ সেনও বলছেন, ‘‘আশা করছি শীঘ্রই তেলের দাম কমতে পারে। বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মানুষের বোঝা কমাতে উদ্যোগী হতে পারে তেল সংস্থাগুলি।’’ তবে দাম কমানোর দাবি উড়িয়েছে আইওসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy