সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্কে জমা রাখা টাকায় বিমার অঙ্ক বাড়ানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র। এখন কোনও ব্যাঙ্কে গ্রাহকের সব ধরনের আমানত ও লগ্নির অঙ্ক যা-ই হোক না কেন, তার বিমা করা থাকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ, কোনও কারণে ব্যাঙ্ক পাট গোটালে ওই অঙ্ক পর্যন্ত ফেরত পান গ্রাহক। তা-ই বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের উপস্থিতিতে জানালেন আর্থিক পরিষেবা সচিব এম নাগরাজু। সম্প্রতি নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে জালিয়াতি সামনে এসেছে। সেই প্রেক্ষিতে তাঁর মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আমানত বিমার দায়িত্বে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীন ডিপোজ়িট ইনশিয়োরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (ডিআইসিজিসি)। সূত্রের দাবি, দেখা গিয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমবায় ব্যাঙ্কগুলির জন্যই বিমার অর্থ খরচ করতে হয় কর্পোরেশনকে। শেষবার ২০১৯-এ মহারাষ্ট্রে পিএমসি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরের বছর, ২০২০-তে আমানতে বিমা ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়। নাগরাজু আজ বলেন, ‘‘বিমার টাকা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে। যখন কেন্দ্র তা মঞ্জুর করবে, তখনই বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।’’
সম্প্রতি নিউ ইন্ডিয়ায় ১২২ কোটি
টাকার প্রতারণা ধরা পড়েছে। শীর্ষ ব্যাঙ্ক
গ্রাহকদের টাকা তোলায় কড়াকড়ি করেছে। এক বছরের জন্য বরখাস্ত
হয়েছে পর্ষদ। বসেছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।
তথ্য বলছে, ব্যাঙ্কের ১.৩ লক্ষ গ্রাহকের ৯০% বিমার অধীনে পুরো টাকা ফেরত পাওয়ার যোগ্য।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)