ইতিমধ্যেই ভারতের বাজারে দ্রুত গতির ৫জি প্রযুক্তি নির্ভর টেলিকম পরিষেবা এনে ফেলেছে দু’টি বেসরকারি সংস্থা। এখন তা আরও ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। তবে বিএসএনএল এখনও ৪জি সংযোগ চালু করতে পারেনি। গ্রাহক এবং কর্মীদের বাড়তে থাকা ক্ষোভের মুখে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী দেবুসিংহ চৌহানের আশ্বাস, বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা দেওয়ার কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। যদিও কবে তা চালু হবে, সে ব্যাপারে নতুন কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম পরিষেবা সংস্থা সময়ের থেকে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের ৪জি স্পেকট্রাম নির্ভর প্রযুক্তি চালুর বিষয়টি একের পর এক প্রতিশ্রুতি এবং সময়সীমা পরিবর্তনের মধ্যেই আপাতত সীমাবদ্ধ। প্রশ্ন উঠছে, প্রতিযোগিতার বৃত্ত থেকে আর কতটা দূরে সরবে সংস্থাটি?
এ দিন এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান, পণ্য পরিবহণের জন্য সরকারের ওপেন নেটওয়ার্ক ডিজিটাল কমার্সের (ওএনডিসি) সঙ্গে চুক্তি করছে ডাক বিভাগ। সেখানেই তাঁর বক্তব্য, বিএসএনএলের এক লক্ষ ৪জি সাইট গড়তে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রের মন্ত্রিগোষ্ঠী। তার ভিত্তিতে বহু সাইট চিহ্নিত হয়েছে। দ্রুত পরিষেবা শুরুর ব্যাপারে সরকার আশাবাদী। তাঁর ব্যাখ্যা, ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৪জি পরিষেবা আনছে বিএসএনএল। তাই কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে এখন দ্রুত গতিতে কাজ এগোচ্ছে।
দেশে ৫জি পরিষেবা নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘এত দ্রুত ৫জি কোনও দেশ চালু করতে পারেনি। ইতিমধ্যেই ভারতে সেই পরিষেবা ৮০০টি জেলায় পৌঁছেছে।’’ এই প্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বেসরকারি টেলিকম ক্ষেত্র যখন ৫জি-র পরবর্তী ধাপের প্রযুক্তি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে, তখন বিএসএনএল ৪জিই চালু করতে পারেনি। কবে শুরু হবে স্পষ্ট নয় তা-ও। শেষে প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যাবে না তো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি!
সংবাদ সংস্থা
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)